রুবেল আহমেদ,আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া)প্রতিনিধিঃ
আখাউড়া সীমান্তবর্তী কালন্দি খাল দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দূষিত পানি আসছে বাংলাদেশে। ভেসে আসছে মরা পশুপাখিও। এই পানি ছড়িয়ে পড়ছে তিতাস নদী ও কৃষিজমিতে। নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগবালাই।
আখাউড়ায় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বয়ে চলা কালন্দি খাল। এই খাল দিয়ে বয়ে আসছে কলকারখানার বর্জ্য। এতে সীমান্ত এলাকার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কয়েক দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না।
এই পানি ব্যবহার করে নানা রকম চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, ‘পানি বাহিত চর্ম রোগ, ক্যন্সার, টিবি রোগসহ বিভিন্ন ধরণের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রতিদিন ডাইরিয়ার প্রচুর রোগী ভর্তি হচ্ছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খালের পানি একাধিকবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এর ক্ষতিকর দিকগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘এ পানির প্যারামিটারগুলো পরিবেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার মান বর্হিভুত। পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে।’
ভারতের কলকারখানাগুলোতে ইটিপি প্লান্ট স্থাপনের কথা থাকলেও তা এখনও করা হয়নি। জনস্বার্থে দ্রুত তা করা হবে বলে আশা জেলা প্রশাসকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আশা করছি খুব শিগগিরই ইটিপি তৈরী করবেন। ইটিপি তৈরি করা গেলে পানি পরিশ্রুত হয়ে আসলে এ এলাকার মানুষ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে।’
দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ও এর আশপাশ এলাকার মানুষের জীবনে অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রুত এর সমাধান চান সবাই।