ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ভবন না থাকায় দৌলতখানে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষাথীদের পাটদান

মোঃকামরুল হোসেন সুমন (স্টাফ রিপোর্টার)

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে গেলো বছরের শেষের দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের ৫০নং মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে থাকে। পরবর্তীতে দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে গত ৩/৪ মাস আগে একজন শিক্ষানুরাগী জমি অনুদান করলে টিনের ছাপরা এক চালা দিয়ে ওই বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০ জনের বেশি হওয়ায় এক কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সংকুল্যান হয়না। গরমে ক্লাশ করার উপায় নেই। তাই খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড গরমে রোদেপুরে আর বৃষ্টিতে ভিজে তাদের ক্লাশ করতে হয়। বিদ্যালয়টির ভবন না থাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা চরম বিপাকে রয়েছে। এতে করে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
এ বিষয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ, সাহারা এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারজান জানান, মাঝে মধ্যে সামান্য বাতাসে ধুলাবালিতে চোখ-মুখ ভরে যায়। এছাড়াও বইখাতা বাতাসে উড়ে যায়। মাটিতে নিচু হয়ে লেখা যায় না। স্কুলে আসতে মন চায় না। তারপরও অভিভাকদের চাপে বাধ্য হয়ে স্কুলে আসতে হয়। বৃষ্টি আসলে ভিজে ক্লাস করতে হয় তাদের।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, সরকার দ্রুত বিদ্যালয়টির পাকা ভবন নির্মাণ করে দিলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হতে পারবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমান জানান, ‘মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে নলডুগি বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সরকারি ভাবে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ তলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গেলো বছরের শেষের দিকে মেঘনার নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ভবনটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি স্থান্তর হওয়ার পর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ না থাকায় একটি কক্ষ থাকলেও তাতে ক্লাশ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সরকারের কাছে শিশুদের শিক্ষার মানউন্নয়নে দ্রুত একটি পাকা ভবন নির্মাণের দাবী জানান।
দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিদ্যালয়ের একটি ভবন করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ভবন না থাকায় দৌলতখানে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষাথীদের পাটদান

আপডেট টাইম ১২:২৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

মোঃকামরুল হোসেন সুমন (স্টাফ রিপোর্টার)

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে গেলো বছরের শেষের দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের ৫০নং মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে থাকে। পরবর্তীতে দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে গত ৩/৪ মাস আগে একজন শিক্ষানুরাগী জমি অনুদান করলে টিনের ছাপরা এক চালা দিয়ে ওই বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তর করা হয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০ জনের বেশি হওয়ায় এক কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সংকুল্যান হয়না। গরমে ক্লাশ করার উপায় নেই। তাই খোলা আকাশের নিচে প্রচন্ড গরমে রোদেপুরে আর বৃষ্টিতে ভিজে তাদের ক্লাশ করতে হয়। বিদ্যালয়টির ভবন না থাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা চরম বিপাকে রয়েছে। এতে করে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।
এ বিষয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ, সাহারা এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারজান জানান, মাঝে মধ্যে সামান্য বাতাসে ধুলাবালিতে চোখ-মুখ ভরে যায়। এছাড়াও বইখাতা বাতাসে উড়ে যায়। মাটিতে নিচু হয়ে লেখা যায় না। স্কুলে আসতে মন চায় না। তারপরও অভিভাকদের চাপে বাধ্য হয়ে স্কুলে আসতে হয়। বৃষ্টি আসলে ভিজে ক্লাস করতে হয় তাদের।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, সরকার দ্রুত বিদ্যালয়টির পাকা ভবন নির্মাণ করে দিলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হতে পারবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমান জানান, ‘মধ্য হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে নলডুগি বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সরকারি ভাবে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ তলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গেলো বছরের শেষের দিকে মেঘনার নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ভবনটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি স্থান্তর হওয়ার পর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ না থাকায় একটি কক্ষ থাকলেও তাতে ক্লাশ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সরকারের কাছে শিশুদের শিক্ষার মানউন্নয়নে দ্রুত একটি পাকা ভবন নির্মাণের দাবী জানান।
দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিদ্যালয়ের একটি ভবন করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।