ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী অটো ড্রাইভার ও মালিক সমিতির উদ্যোগে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের পক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি “ “ওয়াটারলিলি ইন্টারন্যাশনালের ইফতার ,দুআ ও আলোচনা সভা “ “বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে টেকসইতা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সুইডিশ প্রতিনিধিদলের ফকির অ্যাপারেলস সফর” “জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে হতদরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ “ বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বাবুগঞ্জে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন। ইন্দুরকানীতে এলজিইডি অফিসে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চট্টগ্রামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

বড় সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩৮% ব্যাংক, এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা বেশি

বড় সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই দেশের ২৮ শতাংশ ব্যাংকের। আর আংশিক প্রস্তুতি আছে ৩৪ শতাংশ ব্যাংকের। তবে যেকোনো ধরনের সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩৮ শতাংশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি সিকিউরিটি অব ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ: থ্রেটস অ্যান্ড প্রিপারডনেস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টি জালিয়াতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা বেশি। প্রায় ৪৩ শতাংশ এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, প্রায় ২৫ শতাংশ জালিয়াতির ঘটনা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘটেছে। প্রায় ১৫ শতাংশ এসিপিএস ও ইএফটির মাধ্যমে জালিয়াতি ঘটছে ব্যাংকিং খাতে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ শতাংশ, ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে ৩ শতাংশ, সুইফট এবং অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে ঘটছে ২ শতাংশ ঘটনা।

সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম।

সেমিনারে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মো. আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, দিন দিন বিশ্বব্যাপী আইটি ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতও এর বাইরে নেই। এ খাতের ওপর যেসব আক্রমণ হচ্ছে, তা জটিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আলাদা গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে পালন করলে ঝুঁকি কমে আসবে।

বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকারদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা দরকার। কারণ এই খাতটি অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, হ্যাকিংয়ের ঘটনা চলতে থাকবে তবে আমাদের মোকাবিলার প্রস্তুতি কতটুকু, তা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে স্পষ্ট আইটি জ্ঞান থাকা জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল বলেন, ব্যাংক খাতে কর্মী নিয়োগের সময় আইটিতে জ্ঞান আছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। ব্যাংকের কর্মীদের আইটি খাতে গভীর জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলে কার্যক্রম পরিচালনা সমস্যা সৃষ্টি হয়।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির কান্ট্রি ম্যানেজার ভরুনা প্রিয়াশান্ত কলামুনা, মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিউল্লাহ আজম, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী অটো ড্রাইভার ও মালিক সমিতির উদ্যোগে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল

বড় সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩৮% ব্যাংক, এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা বেশি

আপডেট টাইম ০৬:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অক্টোবর ২০১৮

বড় সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেই দেশের ২৮ শতাংশ ব্যাংকের। আর আংশিক প্রস্তুতি আছে ৩৪ শতাংশ ব্যাংকের। তবে যেকোনো ধরনের সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩৮ শতাংশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি সিকিউরিটি অব ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ: থ্রেটস অ্যান্ড প্রিপারডনেস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টি জালিয়াতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা বেশি। প্রায় ৪৩ শতাংশ এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, প্রায় ২৫ শতাংশ জালিয়াতির ঘটনা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘটেছে। প্রায় ১৫ শতাংশ এসিপিএস ও ইএফটির মাধ্যমে জালিয়াতি ঘটছে ব্যাংকিং খাতে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ শতাংশ, ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে ৩ শতাংশ, সুইফট এবং অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে ঘটছে ২ শতাংশ ঘটনা।

সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম।

সেমিনারে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মো. আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, দিন দিন বিশ্বব্যাপী আইটি ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতও এর বাইরে নেই। এ খাতের ওপর যেসব আক্রমণ হচ্ছে, তা জটিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আলাদা গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে পালন করলে ঝুঁকি কমে আসবে।

বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকারদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা দরকার। কারণ এই খাতটি অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, হ্যাকিংয়ের ঘটনা চলতে থাকবে তবে আমাদের মোকাবিলার প্রস্তুতি কতটুকু, তা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে স্পষ্ট আইটি জ্ঞান থাকা জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল বলেন, ব্যাংক খাতে কর্মী নিয়োগের সময় আইটিতে জ্ঞান আছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। ব্যাংকের কর্মীদের আইটি খাতে গভীর জ্ঞান থাকা জরুরি। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলে কার্যক্রম পরিচালনা সমস্যা সৃষ্টি হয়।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির কান্ট্রি ম্যানেজার ভরুনা প্রিয়াশান্ত কলামুনা, মধুমতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিউল্লাহ আজম, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।