ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা সম্মুখে গতকাল শনিবার (০৪-১২-২০২১) সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুইপরে রক্তয়ী সংঘর্ষে থানার ওসিসহ ১০জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চাপাতিসহ উভয় পরে ৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় নবীনগর সদর এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী কোন বড় ধরণের সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউয়িনের নবীপুর ও পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস যাবত নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে শাওন নামে এক যুবককে শ্রীরামপুর এলাকায় সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সকাল আনুমানিক এগারোটার দিকে নবীনগর থানার সম্মুখে শাওনের মামা নবীপুর গ্রামের কাউসার মিয়ার সাথে আলমনগর গ্রামের রাজিব দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ওসি আমিনুর রশিদ, এস.আই আজিজুর রহমান শেখ, এস.আই মামুনুর রশীদ, মনিরুল ইসলাম, এস.আই আশ্রাফুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হন।
আহতদের চিকিৎসার জন্য নবীনগর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেও দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আলমনগর গ্রামের রাজিব ও নবীপুর গ্রামের পাভেলকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ আলমনগর গ্রামের মেহেদী হাসান ও রাজিব এবং নবীপুর গ্রামের কাউছার, শাওন, সবুর, ও পাভেলকে আটক করে।
হাসপাতালের ভিতরে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান জানান, উভয়পক্ষই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হলে নবীনগর থানার ওসি সাহেব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপরে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ জানান, দুই গ্রামের যুবকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় আমি সহ ৪জন সাব ইন্সপেক্টর আহত হয়। উভয়পক্ষের ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।