ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

ব্রাজিলের বিদায় নেইমারকে এতটা কষ্ট দিয়েছে!

রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁর ‘ডাইভিং’ প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু দলের প্রতি নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন চলে না। সেটি দেখা গেছে চার বছর আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপেও। কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পেয়ে ছিটকে পড়ার পর নেইমার কতটা মুষড়ে পড়েছিলেন! ব্রাজিলের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসার বিষণ্ন প্রকাশ ঘটেছে রাশিয়া বিশ্বকাপেও। নেইমার নিজেই জানিয়েছেন, শেষ আট থেকে বিদায়ের পর তিনি বিশ্বকাপে আর কোনো খেলা দেখেননি। এমনকি যে বলটা তাঁর ধ্যানজ্ঞান, সেই বলটাও দেখতে ইচ্ছে হতো না!

বেলজিয়ামের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এরপর নেইমার স্রেফ শোক পালন করেছেন। শনিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘শোক পালন করেছি। ভীষণ দুঃখ লেগেছে। তবে সেই পরিস্থিতিটুকু পার হয়ে এসেছি। আমার সন্তান আছে, পরিবার আছে আর বন্ধু-বান্ধব। ওরা কেউ আমাকে এমন নিস্তেজ দেখতে চায়নি।’

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছিলেন নেইমার। কিন্তু তাঁর দল শেষ আটের বাধা টপকাতে পারেনি। কতটা কষ্ট পেয়েছিলেন, তা বলেছেন নেইমার নিজেই, ‘এমন নয় যে আর কখনো খেলতে চাইনি, কিন্তু বলের দিকে তাকানোর ইচ্ছে হতো না। কোনো ম্যাচও দেখিনি।’

গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ আট পর্যন্ত নেইমার বেশ ভালোই খেলেছেন। তবে ‘ডাইভ’ দেওয়ার দোষে সমালোচিতও হয়েছেন। এ নিয়ে নেইমারকে ঠাট্টা করে প্রচুর ‘ট্রল’ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ তো এক কাঠি সরেস। নেইমারের এই ‘ডাইভিং’ বিতর্ক নিয়ে মজার কিছু প্রতিযোগিতাও হয়েছে কিছু দেশে। এসব নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়টির ভাবনা, ‘এগুলো রসিকতার চোখেই দেখেছি। এমনকি আমি নিজেই শিশুদের সঙ্গে এ নিয়ে মজা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছি।’

কিন্তু নেইমার সব সময় প্রতিপক্ষের ট্যাকলের শিকার হতে ভালোবাসেন ভাবলে ভুল হবে। পিএসজি তারকার ভাষ্য, ‘প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে ড্রিবল করাই আমার খেলা। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি না “হে প্রিয়, দয়া করে পথ ছাড়ো, একটা গোল করব।” এটা মনে করছেন সব সময় ট্যাকলের শিকার হতে ভালোবাসি? না, এটা খুব কষ্টের। ব্যথা লাগে। ম্যাচ শেষে চার-পাঁচ ঘণ্টা বরফ লাগাতে হয়। এই অভিজ্ঞতা না থাকলে কখনো তা বুঝতে পারবেন না।’

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

ব্রাজিলের বিদায় নেইমারকে এতটা কষ্ট দিয়েছে!

আপডেট টাইম ০৬:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁর ‘ডাইভিং’ প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু দলের প্রতি নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন চলে না। সেটি দেখা গেছে চার বছর আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপেও। কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পেয়ে ছিটকে পড়ার পর নেইমার কতটা মুষড়ে পড়েছিলেন! ব্রাজিলের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসার বিষণ্ন প্রকাশ ঘটেছে রাশিয়া বিশ্বকাপেও। নেইমার নিজেই জানিয়েছেন, শেষ আট থেকে বিদায়ের পর তিনি বিশ্বকাপে আর কোনো খেলা দেখেননি। এমনকি যে বলটা তাঁর ধ্যানজ্ঞান, সেই বলটাও দেখতে ইচ্ছে হতো না!

বেলজিয়ামের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এরপর নেইমার স্রেফ শোক পালন করেছেন। শনিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘শোক পালন করেছি। ভীষণ দুঃখ লেগেছে। তবে সেই পরিস্থিতিটুকু পার হয়ে এসেছি। আমার সন্তান আছে, পরিবার আছে আর বন্ধু-বান্ধব। ওরা কেউ আমাকে এমন নিস্তেজ দেখতে চায়নি।’

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছিলেন নেইমার। কিন্তু তাঁর দল শেষ আটের বাধা টপকাতে পারেনি। কতটা কষ্ট পেয়েছিলেন, তা বলেছেন নেইমার নিজেই, ‘এমন নয় যে আর কখনো খেলতে চাইনি, কিন্তু বলের দিকে তাকানোর ইচ্ছে হতো না। কোনো ম্যাচও দেখিনি।’

গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ আট পর্যন্ত নেইমার বেশ ভালোই খেলেছেন। তবে ‘ডাইভ’ দেওয়ার দোষে সমালোচিতও হয়েছেন। এ নিয়ে নেইমারকে ঠাট্টা করে প্রচুর ‘ট্রল’ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ তো এক কাঠি সরেস। নেইমারের এই ‘ডাইভিং’ বিতর্ক নিয়ে মজার কিছু প্রতিযোগিতাও হয়েছে কিছু দেশে। এসব নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়টির ভাবনা, ‘এগুলো রসিকতার চোখেই দেখেছি। এমনকি আমি নিজেই শিশুদের সঙ্গে এ নিয়ে মজা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছি।’

কিন্তু নেইমার সব সময় প্রতিপক্ষের ট্যাকলের শিকার হতে ভালোবাসেন ভাবলে ভুল হবে। পিএসজি তারকার ভাষ্য, ‘প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়ে ড্রিবল করাই আমার খেলা। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি না “হে প্রিয়, দয়া করে পথ ছাড়ো, একটা গোল করব।” এটা মনে করছেন সব সময় ট্যাকলের শিকার হতে ভালোবাসি? না, এটা খুব কষ্টের। ব্যথা লাগে। ম্যাচ শেষে চার-পাঁচ ঘণ্টা বরফ লাগাতে হয়। এই অভিজ্ঞতা না থাকলে কখনো তা বুঝতে পারবেন না।’