আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ।
————————————————————–
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে গত- ( ২১ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গণকবর এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর ও সদর থানা পূর্ব যুবলীগের ১ম যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউনুছ হাওলাদার রুপম । হঠাৎ করে জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ্ উদ্দিন টিপু,র অনুসারীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে সহ তাদের আরো ১২ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছেন । প্রায় ৪ বছর পর লক্ষ্মীপুর শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে জেলা আওয়ামী যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় । মারামারি ঘুষাঘুষি, ধাক্কাধাক্কির পরেও সন্ধ্যায় শেষ হয় বর্ধিত সভা । বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ও সহ-সম্পাদক এডভোকেট জয়নাল আবেদিন রিগ্যান । মূল অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতারা আসার আগেই এ মারামারি হয়েছে, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউনুছ হাওলাদার রুপম ও সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর বলেন, টিপুর নেতৃত্বে নেশাগ্রস্থ একদল বখাটে মোটর সাইকেলে এসে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করেছে, টিপু যুবলীগকে বাবার সম্পত্তি মনে করছে বলেও দাবি করেন ভুক্তভোগীরা, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা । এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এ.কে.এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু বলেন, বাবর ও রুপমের সঙ্গে আমার তর্কবিতর্ক হয়েছে । কাউকে মারধর করা হয়নি । অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । প্রসঙ্গত-ঃ ২০১৭ সালের ২৩,রা নভেম্বর এ.কে.এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু,কে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও আবদুল্লাহ্ আল নােমান,কে সাধারণ সম্পাদক করে ৩ বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয় । নানা বির্তকে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়নি ।