ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ দেশে বিদ্যুৎ প্রাপ্ত জনগোষ্ঠি ৯৯.৭৫% শতাংশ। আর ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জনগোষ্ঠির সংখ্যা ৯৫ শতাংশ। কয়েক বছর আগেও পল্লী বিদ্যুতের লাইন নিতে
গিয়ে সাধারণ গ্রাহকের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতো। একটি লাইন নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখার যেমন কেউ ছিলো না, তেমনি আলোর পৃথিবীতে অন্ধকারের বসবাস করার কষ্টটাও কেউ বুঝেনি। তার উপর মোটা অংকের টাকাতো ঢালতেই হতো গ্রাহকদের। এমনকি ‘প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’
প্রকল্পও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কিছু সুবিধাভোগীর জন্য। অবশেষে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও গ্রাহক হয়রানি কমানোর জন্য সাধারণ জনগণের আর্শিবাদ হয়ে এসেছে বোয়ালমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সানোয়ার হোসেন।
কাগজপত্র রেডি করে ফোন করার ৫ মিনিটেই বিদ্যুৎ নিয়ে হাজির হন বোয়ালমারী পল্লী বিদ্যুৎ। মিটারের জামানত বাবদ সরকার নির্ধারিত টাকা দিলেই সাথে সাথে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে স্বপ্নের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় গ্রাহকের বাড়ি।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় ও সেবায় মুগ্ধ বোয়ালমারীর সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ পেয়ে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সারা জীবন অন্ধকারে ছিলাম। ছেলে মেয়েরা ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারত না। এখন বিদ্যুৎ পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
বিদ্যুৎ পেতে আমাদের কোনো কষ্ট করতে হয়নি। ফোন করার সাথে সাথেই অফিস থেকে লোকজন এসে বিদ্যুৎ দিয়ে গেছে।’ অন্য এক সুবিধাভোগী বলেন- ‘একটা সময় ছিলো বিদ্যুৎ পেতে হয়রানির শেষ ছিলো না। বর্তামানে ‘বিদ্যুৎ পেতে একদিকে যেমন কোনো কষ্ট করতে হয়নি। অন্যদিকে টাকাও খরচ হয়নি। সরকার নির্ধারিত টাকা দিয়ে ঘরে বসে বিদ্যুৎ পেয়েছি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে ধন্যবাদ জানান
তিনি।
এ ব্যপারে বোয়ালমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, কিন্তু কিছু সংখ্যক বাড়িতে নেই। তারা ফোন করলেই আমরা গিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে আসি। গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত করতেই ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।’
জসীম মিয়া
প্রতিনিধি
ফরিদপুর
তাং- ১৩-১১-২১