ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

বেতাগীতে হঠাৎ করে ডায়রিয়া, ১ জনের মৃত্যু। বেতাগী, বরগুনা।

বেতাগী, থানা,প্রতিনিধি :মোঃছিদ্দিকুর রহমান রিজন

বরগুনার বেতাগী উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সম্পর্তি একজন মেডিকেল অফিসার এর করোনা পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো উপজেলা জুড়ে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে অনেকেই যখন হাসপাতাল বিমুখ ঠিক তখনই করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হঠাৎ শুরু হয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। করোনার ভিতর ডায়েরিয়া রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মোট ৮০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসায় ৬০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বর্তমানে ভর্তি আছেন আরো ৩০ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ জন রোগী ডায়েরিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। হাসপাতালে খাবার স্যালাইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ।

এদিকে গত ২৬ এপ্রিল বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আঃ আজিজ এর স্ত্রী সকাল ৭টায় ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তিনি আগের দিন ২৫ তারিখ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হলে পাশের কমনিটি ক্লিনিক থেকে খাবার সেলাইন নিয়ে খাওয়ান তার স্বামীকে। গভীর রাতে প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও কোন গাড়ী না থাকায় হাসপাতালে না নিতে পাড়ায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান তিনি।

ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, সরকারি হাসপাতালে মানুষ আসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে। এখানে অন্য কোন ওষুধ পাওয়া না গেলেও কলেরা স্যালাইন আর খাবার স্যালাইনটি পাওয়া যেতো। এখন আর সেটিও না পাওয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সামর্থবানরা অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়ে ভর্তি হচ্ছেন বিভিন্ন ক্লিনিকে।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং জানান, ঋতু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েকদিন ধরে লোকজন ডাইরিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবার স্যালইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট ছিল। তবে সে সংকট অন্য উপায়ে সমাধান করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বেতাগীতে হঠাৎ করে ডায়রিয়া, ১ জনের মৃত্যু। বেতাগী, বরগুনা।

আপডেট টাইম ০২:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

বেতাগী, থানা,প্রতিনিধি :মোঃছিদ্দিকুর রহমান রিজন

বরগুনার বেতাগী উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সম্পর্তি একজন মেডিকেল অফিসার এর করোনা পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো উপজেলা জুড়ে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে অনেকেই যখন হাসপাতাল বিমুখ ঠিক তখনই করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হঠাৎ শুরু হয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। করোনার ভিতর ডায়েরিয়া রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মোট ৮০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসায় ৬০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বর্তমানে ভর্তি আছেন আরো ৩০ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ জন রোগী ডায়েরিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। হাসপাতালে খাবার স্যালাইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ।

এদিকে গত ২৬ এপ্রিল বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আঃ আজিজ এর স্ত্রী সকাল ৭টায় ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তিনি আগের দিন ২৫ তারিখ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হলে পাশের কমনিটি ক্লিনিক থেকে খাবার সেলাইন নিয়ে খাওয়ান তার স্বামীকে। গভীর রাতে প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও কোন গাড়ী না থাকায় হাসপাতালে না নিতে পাড়ায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান তিনি।

ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, সরকারি হাসপাতালে মানুষ আসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে। এখানে অন্য কোন ওষুধ পাওয়া না গেলেও কলেরা স্যালাইন আর খাবার স্যালাইনটি পাওয়া যেতো। এখন আর সেটিও না পাওয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সামর্থবানরা অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়ে ভর্তি হচ্ছেন বিভিন্ন ক্লিনিকে।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং জানান, ঋতু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েকদিন ধরে লোকজন ডাইরিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবার স্যালইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট ছিল। তবে সে সংকট অন্য উপায়ে সমাধান করা হচ্ছে।