ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে প্রযুক্তির সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু

রাহাত মামুন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সূচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ ) ‘ডিজিটাল বিপ্লবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল স্বাক্ষরের গুরুত্ব’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এটির আয়োজন করে।

সিনিয়র সচিব বলেন, জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের হাতিয়ার হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আই টি ইউ) সদস্য পদ লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন প্রযুক্তি ছাড়া সোনার বাংলা বিনির্মাণে সম্ভব নয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটালি কোনো তফাৎ নেই উল্লেখ করে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। গ্রামের মানুষ শহরের সকল সুবিধা ভোগ করছে।

কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজর প্রধান নিয়ন্ত্রক মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগের ‘ক’ বিভাগ (অষ্টম-দশম), ‘খ’ বিভাগ (একাদশ-দ্বাদশ) ও ‘গ’ বিভাগ (স্নাতক-স্নাতকোত্তর) শ্রেণিতে মোট ১০০৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ঢাকা এবং ২৯ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বাকি ৬টি বিভাগ হতে ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে বিজয়ীরা হলেন-

ক-বিভাগ :

১ম : মো. আলী হাসান মুন্না (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ)

২য় : শাদমান শাহরিয়ার অর্নব (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)

৩য় : হৈমন্তী রায় হিমু (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়)

খ-বিভাগ :

১ম : লিমন দত্ত (দ্বাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ)

২য় : নাসিফ আহমেদ প্রত্যয় (দ্বাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা সিটি কলেজ)

৩য় : তাহিরা আফিফা (একাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম)

গ-বিভাগ :

১ম : নিশাত তাসনিম চৌধুরী, (ফার্মেসী বিভাগ, ২য় বর্ষ-সম্মান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)

২য় : আকিভা আক্তার সুইটি (মাস্টার্স, হর্টিকালচার বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)

৩য় : ইসরাত জাহান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ৩য় বর্ষ-সম্মান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে প্রযুক্তির সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু

আপডেট টাইম ০৭:১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

রাহাত মামুন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সূচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ ) ‘ডিজিটাল বিপ্লবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল স্বাক্ষরের গুরুত্ব’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এটির আয়োজন করে।

সিনিয়র সচিব বলেন, জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের হাতিয়ার হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আই টি ইউ) সদস্য পদ লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন প্রযুক্তি ছাড়া সোনার বাংলা বিনির্মাণে সম্ভব নয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটালি কোনো তফাৎ নেই উল্লেখ করে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। গ্রামের মানুষ শহরের সকল সুবিধা ভোগ করছে।

কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজর প্রধান নিয়ন্ত্রক মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগের ‘ক’ বিভাগ (অষ্টম-দশম), ‘খ’ বিভাগ (একাদশ-দ্বাদশ) ও ‘গ’ বিভাগ (স্নাতক-স্নাতকোত্তর) শ্রেণিতে মোট ১০০৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ঢাকা এবং ২৯ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বাকি ৬টি বিভাগ হতে ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে বিজয়ীরা হলেন-

ক-বিভাগ :

১ম : মো. আলী হাসান মুন্না (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ)

২য় : শাদমান শাহরিয়ার অর্নব (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়)

৩য় : হৈমন্তী রায় হিমু (দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়)

খ-বিভাগ :

১ম : লিমন দত্ত (দ্বাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ)

২য় : নাসিফ আহমেদ প্রত্যয় (দ্বাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা সিটি কলেজ)

৩য় : তাহিরা আফিফা (একাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম)

গ-বিভাগ :

১ম : নিশাত তাসনিম চৌধুরী, (ফার্মেসী বিভাগ, ২য় বর্ষ-সম্মান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)

২য় : আকিভা আক্তার সুইটি (মাস্টার্স, হর্টিকালচার বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)

৩য় : ইসরাত জাহান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ৩য় বর্ষ-সম্মান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)