ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান শওকতের প্রতি পটুয়াখালী জেলা জাসদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ খান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট হাবিবুুর রহমান শওকত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য , মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন পটুয়াখালীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালিন পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে পাকহাদার বাহিনীকে পরাভূত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান শওকত। ঐ পরাজয়ের পরই পাকহানাদার বাহিনী পটুয়খালী থেকে রাতের আধাঁরে পালিয়ে যায়। এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর লুটকরা প্রায় ৩৫ কেজি সোনা, রূপা ও অলংকার উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বীরত্বের গৌরব অর্জন করেছিলেন। তিনি পটুয়াখালীর উন্নয়নে ১০ হাজার লোকনিয়ে হ্যারিকেন মিছিল করে পটুয়াখালীতে ১৩২ কেভি বিদ্যুত উপকেন্দ্র স্থাপন করতে এরশাদ সরকারকে বাধ্য করে ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারের সময় পটুয়াখালী জেলা জাসদের শত শত নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢাকাস্থ জাতীয় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দক্ষিন গেটে হ্যারিকেন সমাবেশ করে বঙ্গভবনে দিকে মিছিল নিয়ে গেলে বঙ্গভবনের নিরাপত্তা বাহিনীর সেনা সদস্যরা বঙ্গভবনের অদূরে মিছিল থামিয়ে দেন। এ সময় রাস্ট্রপতি এরশাদ তাকে এবং পটুয়াখালী জেলার তখনকার সময়ের জাসদের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতি মাতব্বরসহ পাচঁজন জাসদ নেতাকে ডেকে নেন। এ সময় জেলা জাসদের পক্ষ থেকে পটুয়াখালীর উন্নয়নে ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, জেলা শহরের সাথে সকল ইউনিয়নের সাথে কানেক্টিং সড়ক নির্মান, পটুয়াখালীর উন্নয়নে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় সমহারে অর্থ বরাদ্ধসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধিতে জাসদ প্রতিনিধি দল এক স্মারকলিপি প্রদান করেন রাস্ট্রপতি এরশাদএর কাছে। এরশাদ এ দাবী বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট সবাইকে কাদিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। লাল সালাম বীর মুক্তিযোদ্ধা। লাল সালাম কমরেডকে।এড. হাবিবুর রহমান শওকত একজন বিরল দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় বাবা- মা, ভাই-বোনকে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে চলে যান। ভারতে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশে ফেরার পথে তিনি ৩ জুন ১৯৭১ তারিখে ‘বিলোনিয়া ব্রীজ’ ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে নিজের এলাকায় যুদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। জে. ওসমানীর নির্দেশে ৯নং সেক্টরের পটুখালী-গলাচিপা সাব-সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি সম্মুখ যুদ্ধসহ পটুয়াখালী হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এড. হাবিবুর রহমান শওকত ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নতকরণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নির্যাতিত-ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের গণশুনানী করেন’। তার এই পদক্ষেপ ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণে পটুয়াখালী মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়। তার উদ্যোগে এই গণশুনানীতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের-তদন্ত-বিচার করে, বিচারে ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পর এড. হাবিবুর রহমান শওকত পটুয়াখালী ট্রেজারি থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেন। উক্ত জেলা প্রশাসক ও কতিপয় অফিসারের যোগসাজসে এই স্বর্ণ আত্মসাৎ করলে তিনি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলায় উক্ত জেলা প্রশাসকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ ৭ বছর দন্ড হয়। এড. হাবিবর রহমান শওকত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন করোনায় প্রয়াত জাসদের আরেক অভিভাবক এড. ইদ্রিসুর রহমান। সেই মামলায় জাসদের পক্ষে পেপারবুক তৈরি করেছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত। কুখ্যাত খুনি ওসি রফিক কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার চাঞ্চল্যকর ছাত্রনেতা মোমিন হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে তিনি নির্যাতিত-অনির্বাচিত-সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলন, তেল-গ্যাস-বন্দর-বিদ্যুৎ-সুন্দরবন-জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন সংগ্রামের রূপকার কাজী আরিফ এর ভ্যানগার্ড হিসেবে আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুজ্জিত সকল আন্দোলনের জাসদের হয়ে অগ্রভাগে ছিলেন। দেশের জন্য তার অবদান জাতির কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বৈশ্বিক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট সবাইকে কাদিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁকে পটুয়াখালী জেলা জাসদের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা। আল্লাহ শওকত ভাইকে জান্নাতবাসী করুন, আমিন। ###

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান শওকতের প্রতি পটুয়াখালী জেলা জাসদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

আপডেট টাইম ০৭:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ খান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট হাবিবুুর রহমান শওকত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য , মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন পটুয়াখালীর ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালিন পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে পাকহাদার বাহিনীকে পরাভূত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান শওকত। ঐ পরাজয়ের পরই পাকহানাদার বাহিনী পটুয়খালী থেকে রাতের আধাঁরে পালিয়ে যায়। এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর লুটকরা প্রায় ৩৫ কেজি সোনা, রূপা ও অলংকার উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বীরত্বের গৌরব অর্জন করেছিলেন। তিনি পটুয়াখালীর উন্নয়নে ১০ হাজার লোকনিয়ে হ্যারিকেন মিছিল করে পটুয়াখালীতে ১৩২ কেভি বিদ্যুত উপকেন্দ্র স্থাপন করতে এরশাদ সরকারকে বাধ্য করে ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারের সময় পটুয়াখালী জেলা জাসদের শত শত নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢাকাস্থ জাতীয় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দক্ষিন গেটে হ্যারিকেন সমাবেশ করে বঙ্গভবনে দিকে মিছিল নিয়ে গেলে বঙ্গভবনের নিরাপত্তা বাহিনীর সেনা সদস্যরা বঙ্গভবনের অদূরে মিছিল থামিয়ে দেন। এ সময় রাস্ট্রপতি এরশাদ তাকে এবং পটুয়াখালী জেলার তখনকার সময়ের জাসদের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতি মাতব্বরসহ পাচঁজন জাসদ নেতাকে ডেকে নেন। এ সময় জেলা জাসদের পক্ষ থেকে পটুয়াখালীর উন্নয়নে ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, জেলা শহরের সাথে সকল ইউনিয়নের সাথে কানেক্টিং সড়ক নির্মান, পটুয়াখালীর উন্নয়নে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় সমহারে অর্থ বরাদ্ধসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধিতে জাসদ প্রতিনিধি দল এক স্মারকলিপি প্রদান করেন রাস্ট্রপতি এরশাদএর কাছে। এরশাদ এ দাবী বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট সবাইকে কাদিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। লাল সালাম বীর মুক্তিযোদ্ধা। লাল সালাম কমরেডকে।এড. হাবিবুর রহমান শওকত একজন বিরল দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় বাবা- মা, ভাই-বোনকে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতে চলে যান। ভারতে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশে ফেরার পথে তিনি ৩ জুন ১৯৭১ তারিখে ‘বিলোনিয়া ব্রীজ’ ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে নিজের এলাকায় যুদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। জে. ওসমানীর নির্দেশে ৯নং সেক্টরের পটুখালী-গলাচিপা সাব-সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি সম্মুখ যুদ্ধসহ পটুয়াখালী হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এড. হাবিবুর রহমান শওকত ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নতকরণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নির্যাতিত-ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের গণশুনানী করেন’। তার এই পদক্ষেপ ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণে পটুয়াখালী মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়। তার উদ্যোগে এই গণশুনানীতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের-তদন্ত-বিচার করে, বিচারে ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পর এড. হাবিবুর রহমান শওকত পটুয়াখালী ট্রেজারি থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেন। উক্ত জেলা প্রশাসক ও কতিপয় অফিসারের যোগসাজসে এই স্বর্ণ আত্মসাৎ করলে তিনি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলায় উক্ত জেলা প্রশাসকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ ৭ বছর দন্ড হয়। এড. হাবিবর রহমান শওকত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন করোনায় প্রয়াত জাসদের আরেক অভিভাবক এড. ইদ্রিসুর রহমান। সেই মামলায় জাসদের পক্ষে পেপারবুক তৈরি করেছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত। কুখ্যাত খুনি ওসি রফিক কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার চাঞ্চল্যকর ছাত্রনেতা মোমিন হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে তিনি নির্যাতিত-অনির্বাচিত-সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলন, তেল-গ্যাস-বন্দর-বিদ্যুৎ-সুন্দরবন-জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন সংগ্রামের রূপকার কাজী আরিফ এর ভ্যানগার্ড হিসেবে আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুজ্জিত সকল আন্দোলনের জাসদের হয়ে অগ্রভাগে ছিলেন। দেশের জন্য তার অবদান জাতির কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বৈশ্বিক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৩ আগষ্ট সবাইকে কাদিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁকে পটুয়াখালী জেলা জাসদের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা। আল্লাহ শওকত ভাইকে জান্নাতবাসী করুন, আমিন। ###