মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক তারামন বিবি আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার ছেলে আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বীরপ্রতীক তারামন বিবি দীর্ঘদিন থেকে ফুসফুস ও শ্বাস-প্রশ্বাস রোগের ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বীর প্রতীক তারামন বিবিকে আজ দুপুর ২টায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামে পবিবারের সঙ্গে বসবাস করেন বীরপ্রতীক তারামন বিবি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১নং সেক্টরের হয়ে তারামন বিবি জীবন বাজি রেখে মুক্তিবাহিনীদের রান্না বান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরা খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দেয়া এবং সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করায় তার অনেক অবদান রয়েছে। এ কারনে বাংলাদেশ সরকারের বীরপ্রতীক খেতাব পান তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। এরপর অবশ্য দীর্ঘদিন তার কোনো খোঁজ করেনি কেউ। ১৯৯৫ সালে তাকে নতুন করে খুঁজে বের করা হয়।
তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়। একই বছর তার হাতে তুলে দেয়া হয় বীরত্বের পুরস্কার। পরিচিতি আর সুখ্যাতি পেলেও তারামন বিবি নিভৃতেই বসবাস করছিলেন রাজিবপুরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে।
গত কয়েক বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা রকম রোগে ভুগছিলেন তারামন বিবি।