ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাচনে ১০ মনোনায়ন জমা, ০১ জন বিএনপি কুমিল্লায় অষ্টমী স্নানোৎসবে ভক্ত পূণ্যার্থী ঢল মুলাদী আড়িয়াল খাঁ নদীতে ডুবে যাওয়া দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার। বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা। কুমিল্লার চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ১৪ জন প্রার্থী গজারিয়ায় ৩ হেভিওয়েটসহ চেয়ারম্যান পদে ৫,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ নারায়ণগঞ্জে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ফিরিঙ্গিবাজারে বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা মেয়রের গজারিয়ায় অজ্ঞাত তরুনীর রক্তাত লাশ উদ্ধার

বি উপাচার্যের বাসভবনে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা লাগাতার অনশন

রাবি উপাচার্যের বাসভবনে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা লাগাতার অনশন

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে লাগাতার অনশন অবস্থান শুরু করেছে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে তারা এই নতুন কর্মসূচি শুরু করে। এর আগে বিকেল ৬টার দিকে চাকরিতে পদায়ন ও সিন্ডিকেট সভা বন্ধে উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেয় তারা।

এসময় এডহক নিয়োগ প্রাপ্তরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশপথে বসে ও শুয়ে পড়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী ও ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর এডহক নিয়োগ প্রাপ্তদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা চাকরিতে পদায়ন না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা বন্ধে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার ঘোষণা দেয়। পরে উভয়ে বিষয়টি অবহিত হয়ে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা নিজ বাসভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও পুৃলিশের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ৮টায় সিন্ডিকেট সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরও নিয়োগ প্রাপ্তরা সেখানেই অবস্থান করেন এবং রাত ১০টায় লাগাতার অবস্থানের নতুন কর্মসূচি শুরু করেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনরত এডহক নিয়োগ প্রাপ্তরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

এদিকে একটানা আন্দোলনে থাকায় তাদের বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও চাকরিতে পদায়নের না করা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা লাগাতার অবস্থানে থাকবেন। কোনোভাবেই তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

এডহক নিয়োগপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন ডিলস বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান স্যার গত ৫ মে আমাদের ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এডহক নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা পরদিন ৬ মে রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে যোগদান করেছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দিলেও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিউৎসাহী হয়ে আমাদের নিজ নিজ দপ্তরে যোগদানের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। দেড় মাস ধরে বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা আশ্বাস দিয়েও আমাদের পদায়নের কোন ব্যবস্থা করেননি। ফলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের পদায়নের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে এখানেই মরে যাব, তবুও কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না।’

মাহাফুজ আল আমিন বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের চাকরিতে পদায়নের বিষয়টি সমাধান করবে বলে আশ্বাস পেয়ে গত সোমবার আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু, মঙ্গলবার তারা সিন্ডিকেট সভা করতে চান। আমরা ধারণা করছি, সিন্ডিকেট সভায় আমাদের নিয়োগ বিষয়ে প্রস্তাব তুলে বাতিল করা হতে পারে। অথচ আমরা চাকরিতে যোগদান করতে চাই। তাই আমরা লাগাতার অবস্থান নিয়েছি, যোগদানের ঘোষণা না দিলে অবস্থান ছাড়ব না। আর আমরা কোনো সিন্ডিকেট সভাও করতে দেব না।’

তবে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার এক সমঝোতা সভায় আমার সাবেক ছাত্ররা বলেছিলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজে আর বাধা দেবেন না। আমিও তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছিলাম, সিন্ডিকেটের সভায়, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অনুষ্ঠিত হওয়া অতীব জরুরী, সেখানে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকবে না। যদি তাঁরা গত (সোমবার) বলতেন যে সিন্ডিকেট সভা করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে গত (মঙ্গলবার) হয়তো সভা আহ্বানই করা হতো না। তাঁরা আজকে যে দাবিটা করেছেন, তা পূরণ করা তাঁর (রুটিন উপাচার্য) একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার সংশ্লিষ্ট রয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁর পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, কতিপয় শিক্ষকদের বাধায় অর্থকমিটি ও সিন্ডিকেটের শেষ সভা করতে না পেরে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান তার শেষ কর্মদিবসের দু’দিনে (৫ ও ৬ মে) ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে আন্দোলনকারী ১৩৭ জনকে এডহক নিয়োগ দিয়ে যান। কিন্তু উক্ত নিয়োগকে ওই দিনই ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর ৮ মে রুটিন উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন (যোগদান) স্থগিত করেন। ২৩ মে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে তদন্ত কমিটি এই নিয়োগ ছাড়াও নীতিমালা শিথিলের পর নিয়োগ দেওয়া ৩৪ শিক্ষকের নিয়োগও বাতিলের সুপারিশ করায় ‘নতুন জটিলতার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।

সানোয়ার আরিফ রাজশাহী০১৭১৮৯৯৩৩২৯

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু না থাকায় দুই উপজেলার বাসিন্দারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ

বি উপাচার্যের বাসভবনে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা লাগাতার অনশন

আপডেট টাইম ০২:১৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

রাবি উপাচার্যের বাসভবনে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা লাগাতার অনশন

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে লাগাতার অনশন অবস্থান শুরু করেছে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে তারা এই নতুন কর্মসূচি শুরু করে। এর আগে বিকেল ৬টার দিকে চাকরিতে পদায়ন ও সিন্ডিকেট সভা বন্ধে উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেয় তারা।

এসময় এডহক নিয়োগ প্রাপ্তরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশপথে বসে ও শুয়ে পড়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী ও ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর এডহক নিয়োগ প্রাপ্তদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা চাকরিতে পদায়ন না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা বন্ধে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার ঘোষণা দেয়। পরে উভয়ে বিষয়টি অবহিত হয়ে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা নিজ বাসভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ও পুৃলিশের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ৮টায় সিন্ডিকেট সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরও নিয়োগ প্রাপ্তরা সেখানেই অবস্থান করেন এবং রাত ১০টায় লাগাতার অবস্থানের নতুন কর্মসূচি শুরু করেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলনরত এডহক নিয়োগ প্রাপ্তরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

এদিকে একটানা আন্দোলনে থাকায় তাদের বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তরা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও চাকরিতে পদায়নের না করা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা লাগাতার অবস্থানে থাকবেন। কোনোভাবেই তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন না।

এডহক নিয়োগপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন ডিলস বলেন, ‘সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান স্যার গত ৫ মে আমাদের ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এডহক নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা পরদিন ৬ মে রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে যোগদান করেছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দিলেও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিউৎসাহী হয়ে আমাদের নিজ নিজ দপ্তরে যোগদানের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। দেড় মাস ধরে বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা আশ্বাস দিয়েও আমাদের পদায়নের কোন ব্যবস্থা করেননি। ফলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের পদায়নের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে এখানেই মরে যাব, তবুও কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না।’

মাহাফুজ আল আমিন বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের চাকরিতে পদায়নের বিষয়টি সমাধান করবে বলে আশ্বাস পেয়ে গত সোমবার আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু, মঙ্গলবার তারা সিন্ডিকেট সভা করতে চান। আমরা ধারণা করছি, সিন্ডিকেট সভায় আমাদের নিয়োগ বিষয়ে প্রস্তাব তুলে বাতিল করা হতে পারে। অথচ আমরা চাকরিতে যোগদান করতে চাই। তাই আমরা লাগাতার অবস্থান নিয়েছি, যোগদানের ঘোষণা না দিলে অবস্থান ছাড়ব না। আর আমরা কোনো সিন্ডিকেট সভাও করতে দেব না।’

তবে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার এক সমঝোতা সভায় আমার সাবেক ছাত্ররা বলেছিলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজে আর বাধা দেবেন না। আমিও তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছিলাম, সিন্ডিকেটের সভায়, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অনুষ্ঠিত হওয়া অতীব জরুরী, সেখানে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকবে না। যদি তাঁরা গত (সোমবার) বলতেন যে সিন্ডিকেট সভা করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে গত (মঙ্গলবার) হয়তো সভা আহ্বানই করা হতো না। তাঁরা আজকে যে দাবিটা করেছেন, তা পূরণ করা তাঁর (রুটিন উপাচার্য) একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার সংশ্লিষ্ট রয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁর পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, কতিপয় শিক্ষকদের বাধায় অর্থকমিটি ও সিন্ডিকেটের শেষ সভা করতে না পেরে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান তার শেষ কর্মদিবসের দু’দিনে (৫ ও ৬ মে) ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে আন্দোলনকারী ১৩৭ জনকে এডহক নিয়োগ দিয়ে যান। কিন্তু উক্ত নিয়োগকে ওই দিনই ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর ৮ মে রুটিন উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন (যোগদান) স্থগিত করেন। ২৩ মে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। তবে তদন্ত কমিটি এই নিয়োগ ছাড়াও নীতিমালা শিথিলের পর নিয়োগ দেওয়া ৩৪ শিক্ষকের নিয়োগও বাতিলের সুপারিশ করায় ‘নতুন জটিলতার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।

সানোয়ার আরিফ রাজশাহী০১৭১৮৯৯৩৩২৯