স্টাফ রিপোর্টারঃ-রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার দেওপাড়া ইউনিয়নের একজন নির্বাচিত মেম্বরের মাদক নাটকে ফেঁসে গেলেন তারই সহযোগী মিল্টন (২১) নামের এক যুবক। ইউপি মেম্বার প্রদীপ এক্কা(৪২) । তার খায়েশ হয়েছিল পাশ্ববর্তী গোগ্রাম ইউনিয়নের পূজাতলা গ্রামের এক কমবয়সী মেয়েকে বিয়ে করার। কিন্তু মেয়ের বাবা পাত্রের বয়স চিন্তা করেই মেম্বরের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হননি।তিনি চৌদুয়ার গ্রামের কমবয়সী আরেকটা ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন। পাঁচদিন পরেই তাদের বিয়ে হওয়ার কথা বলে জানা যায়।
এই অবমাননা মেম্বারের সহ্য হয়নি।তাই প্ল্যান করে ছেলেটিকে ফাঁসিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করার। এ ব্যাপারে তাকে সহযোগীতা করতে রাজি হয় একই গ্রামের ছেলে মিল্টন (২১)। দুজন মিলে নয় বোতল ফেন্সিডিল এবং একশ গ্রাম হেরোইন সংগ্রহ করে এবং রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)কে খবর দেয়।খবর পেয়ে ডিবির ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন চৌদুয়ার গ্রামে ছেলেটির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ছেলেটিকে আটক করে এবং মিল্টনের দেখিয়ে দেয়া জায়গা থেকে নয় বোতল ফেন্সিডিল এবং একশ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে। তখন পর্যন্ত সব মেম্বরের পরিকল্পনা মতই চলছিল, কিন্তু বাদ সাধল ডিবির ইন্সপেক্টর রুহুল । ছেলেটাকে দেখে তার মাদক কারবারি মনে হচ্ছিল না।রুহুল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তীর সাথে কথা বলেন। তিনিও বিষয়টি সন্দেহ প্রবণ মনে করেন এবং রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবি এম মাসুদের নির্দেশনায় মিল্টনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে সে মেম্বরের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন।
সে জানায় বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে প্রদীপ মেম্বার এমন নাটক সাজিয়েছে।
ইন্সপেকটর রুহুল তখনই মেম্বরকে ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন কিন্তু পরিস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, মিল্টন এবং প্রদীপ মেম্বরকে আসামি করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মেম্বারকে ধরতে অভিযান চলছে।