ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিদেশ থেকে আসা সবাইকে ঢাকায় রাখার সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিদেশ থেকে আসা সবাইকে ঢাকায় রাখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ইতালি থেকে যারা এসেছেন, সবাই সুস্থ আছেন।  তবে তাদের পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে দুই জনের শরীরে করোনাভাইরাস নেই।  তৃতীয় জনের রিপোর্টও নেগেটিভ পাওয়া গেছে।  আমরা আস্তে আস্তে তাদের ছেড়ে দেবো।  প্রত্যেক জেলায় হাসপাতাল ও ডাক্তার রেডি রাখা হয়েছে। জেলা উপজেলার কমিটিগুলোও খুব তৎপর।  বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  কেউ গোপন করলে তথ্য গোপনের যে আইন তা প্রয়োগ হবে।  সেখানে জেল জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল বেশকিছু লোক এসেছে।  যার মধ্যে ইতালি থেকে আসা যাত্রীও ছিলো।  তাদের স্থানীয়ভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  কাল আরো ১৫০ জনের ইতালি থেকে আসার কথা এবং বিকেলেও কিছু আসবে। সে বিষয়ে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।  তাদের হজক্যাম্পে নিয়ে রেখেছি।  সেখানে রেখে তাদের পরীক্ষা করবো।  তারা সংক্রমিত কিনা দেখবো।  আমরা জেনেছি তারা অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে।  তারা সেখানেও কোয়ারেন্টাইনে ছিল।  যদি  দেখি সবাই সুস্থ সেক্ষেত্রে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখবো। এ ধরনের আরো লোকজন আসবে খবর পেয়েছি,  সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আসছে সবাই সুস্থ আছেন।  কেউ অসুস্থ নেই।  সেভাবে আমরা পাইনি।  তাদের স্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষা করবে। পরে সিদ্ধান্ত নেবো। তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাবো, একেবারে ছেড়ে দেবো না। আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।  নিজ নিজ বাড়িতে সরকারি তত্বাবধানে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।  যেহেতু অনেক লোক ইতালি থেকে এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ছিলো। তাই তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।  ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ নজর রাখছেন স্থানীয়ভাবে। জনগণও বিদেশ থেকে কেউ আসলে আমাদের জানাচ্ছে।  সেখানে ডাক্তার ও পুলিশ যাচ্ছে, যাতে তারা বের না হন সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ কী ঝুঁকির মধ্যে আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই মাসে করোনা প্রতিরোধে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, এরকম ব্যবস্থা কোনো দেশই নেয়নি।  কোন জেলায় কতজন কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে, কীভাবে তারা আছে প্রতিটি নিউজ আমাদের কাছে আছে।  করোনাভাইরাস যেখানে আছে সেখানে তো একটু ঝুঁকি থাকেই।

তিনি বলেন, ইতালিতে যেহেতু বেশি ছড়িয়েছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখান থেকে যারা আসবে তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। প্রথমে তারা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। পরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। আমাদের দেশের লোক বাইরে অনেক।  সবাই আসতে শুরু করলে আমাদের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হবে।

স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে ডিসি-ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছি।  স্থানীয়ভাবে কমিটি খুব অ্যাকটিভ।  যারা এসেছে তাদের চেকআপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৪২ জন সেখানে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি কোথা থেকে এসেছে। অনেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। আজ বিকালে আরো ৩৪ জন আসবে। আগামীকাল ১৫৫ জন আসার কথা শুনেছি। তারা আসলে বলতে পারবো।  গতকাল রাতে খবর শুনেছি তারা আসবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন”

বিদেশ থেকে আসা সবাইকে ঢাকায় রাখার সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিদেশ থেকে আসা সবাইকে ঢাকায় রাখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ইতালি থেকে যারা এসেছেন, সবাই সুস্থ আছেন।  তবে তাদের পরীক্ষা—নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে দুই জনের শরীরে করোনাভাইরাস নেই।  তৃতীয় জনের রিপোর্টও নেগেটিভ পাওয়া গেছে।  আমরা আস্তে আস্তে তাদের ছেড়ে দেবো।  প্রত্যেক জেলায় হাসপাতাল ও ডাক্তার রেডি রাখা হয়েছে। জেলা উপজেলার কমিটিগুলোও খুব তৎপর।  বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  কেউ গোপন করলে তথ্য গোপনের যে আইন তা প্রয়োগ হবে।  সেখানে জেল জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল বেশকিছু লোক এসেছে।  যার মধ্যে ইতালি থেকে আসা যাত্রীও ছিলো।  তাদের স্থানীয়ভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  কাল আরো ১৫০ জনের ইতালি থেকে আসার কথা এবং বিকেলেও কিছু আসবে। সে বিষয়ে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।  তাদের হজক্যাম্পে নিয়ে রেখেছি।  সেখানে রেখে তাদের পরীক্ষা করবো।  তারা সংক্রমিত কিনা দেখবো।  আমরা জেনেছি তারা অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে।  তারা সেখানেও কোয়ারেন্টাইনে ছিল।  যদি  দেখি সবাই সুস্থ সেক্ষেত্রে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখবো। এ ধরনের আরো লোকজন আসবে খবর পেয়েছি,  সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আসছে সবাই সুস্থ আছেন।  কেউ অসুস্থ নেই।  সেভাবে আমরা পাইনি।  তাদের স্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষা করবে। পরে সিদ্ধান্ত নেবো। তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাবো, একেবারে ছেড়ে দেবো না। আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।  নিজ নিজ বাড়িতে সরকারি তত্বাবধানে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।  যেহেতু অনেক লোক ইতালি থেকে এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ছিলো। তাই তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।  ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ নজর রাখছেন স্থানীয়ভাবে। জনগণও বিদেশ থেকে কেউ আসলে আমাদের জানাচ্ছে।  সেখানে ডাক্তার ও পুলিশ যাচ্ছে, যাতে তারা বের না হন সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ কী ঝুঁকির মধ্যে আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই মাসে করোনা প্রতিরোধে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, এরকম ব্যবস্থা কোনো দেশই নেয়নি।  কোন জেলায় কতজন কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে, কীভাবে তারা আছে প্রতিটি নিউজ আমাদের কাছে আছে।  করোনাভাইরাস যেখানে আছে সেখানে তো একটু ঝুঁকি থাকেই।

তিনি বলেন, ইতালিতে যেহেতু বেশি ছড়িয়েছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখান থেকে যারা আসবে তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। প্রথমে তারা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। পরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। আমাদের দেশের লোক বাইরে অনেক।  সবাই আসতে শুরু করলে আমাদের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হবে।

স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে ডিসি-ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখছি।  স্থানীয়ভাবে কমিটি খুব অ্যাকটিভ।  যারা এসেছে তাদের চেকআপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৪২ জন সেখানে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি কোথা থেকে এসেছে। অনেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। আজ বিকালে আরো ৩৪ জন আসবে। আগামীকাল ১৫৫ জন আসার কথা শুনেছি। তারা আসলে বলতে পারবো।  গতকাল রাতে খবর শুনেছি তারা আসবে।