ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

বিদেশি মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আটক ৭ জন

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: বিদেশি মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত একটি চক্র। চক্রের সাতসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এই ব্যাপারে তথ্য জানান অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাসেম। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। আটকরা হলেন-আবু শেখ (৩৮), শাহিন মাতব্বর (৩৭), মহসিন মিয়া (৪৫), আবুল বাশার (৪০), কামরুল শেখ (৩৫), ইশারত মোল্লা (২৭) ও আব্দুর রহমান মোল্লা (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিয়েল, ৩ হাজার ৮২২ টাকা ও ১০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, চক্রটি বিভিন্নভাবে জনসাধারণকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতো। প্রতারকদের সবাই পেশায় রংমিস্ত্রি, সেই সুবাদে সহজেই মানুষের বাসায় প্রবেশ করতে পারতো। কারো বাসায় ঢুকে বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। তারা রিয়েল দেখিয়ে কমমূল্যে বিক্রি করার কথা বলে প্রলোভন দেখাতো। আর ওই ব্যক্তি রাজি হলেই টাকার বিনিময়ে ওপরে কয়েকটি রিয়েল নোট ভেতরে কাগজ দিয়ে বানানো বান্ডেল দিয়ে কেটে পড়তো। এর বাইরে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারের যাত্রীদের টার্গেট করতো। তারা গাড়ির বাইরে থেকে রিয়েলের নোট দেখাতো, এবং অনেক নোট আছে বলে জানাতো। এ সময় কমদামে কিনতে আগ্রহী সেজে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা আসতো। তখন টার্গেট করা ব্যক্তি কেনার ফাঁদে পা দিলে তারা টাকার বিনিময়ে রিয়েলভর্তি ব্যাগ দিয়ে পুলিশ দেখে ফেলবে বলে দ্রুত কেটে পড়তো। কিছু বুঝে উঠার আগেই কাগজ বা কাপড়-দিয়ে মোড়ানো ভুয়া বান্ডেলে প্রতারণার শিকার হতো টার্গেট করা ব্যক্তি। এছাড়া, হজ ক্যাম্পকে টার্গেট করে চলতো তাদের প্রতারণা। সেখানে গ্রাম থেকে আসা লোকদের ফাঁদে ফেলে এ পর্যন্ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। কখনো কখনো নিজেরা বোকা সেজে টার্গেট করা ব্যক্তিকে বোকা বানাতো। রিয়েলের নোট দেখিয়ে কিছু বুঝেনা এমন ভাব নিতো। আর সেই সুযোগে টার্গেট করা ব্যক্তি রিয়েল কেনার জন্য রাজি হলেই প্রতারণার শিকার হতো। চক্রটি রিয়েল হস্তান্তর করার জন্য বিভিন্ন শপিংমল কিংবা জনবহুল জায়গা ঠিক করতো, যেন টাকা নিয়ে দ্রুত কেটে পড়তে পারে। র‌্যাব-১ অধিনায়ক আরও বলেন, আবু শেখ এ চক্রের মূল হোতা। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে সাত জনের এ চক্রটি অভিনব পন্থায় প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। এমন আরও দুই-একটি চক্র রাজধানীতে সক্রিয় থাকতে পারে, তাদের বিষয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১ এর মিডিয়া শাখার এএসপি শারমিন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

বিদেশি মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আটক ৭ জন

আপডেট টাইম ০৬:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০১৯

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: বিদেশি মুদ্রার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত একটি চক্র। চক্রের সাতসদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এই ব্যাপারে তথ্য জানান অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাসেম। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। আটকরা হলেন-আবু শেখ (৩৮), শাহিন মাতব্বর (৩৭), মহসিন মিয়া (৪৫), আবুল বাশার (৪০), কামরুল শেখ (৩৫), ইশারত মোল্লা (২৭) ও আব্দুর রহমান মোল্লা (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিয়েল, ৩ হাজার ৮২২ টাকা ও ১০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, চক্রটি বিভিন্নভাবে জনসাধারণকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতো। প্রতারকদের সবাই পেশায় রংমিস্ত্রি, সেই সুবাদে সহজেই মানুষের বাসায় প্রবেশ করতে পারতো। কারো বাসায় ঢুকে বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। তারা রিয়েল দেখিয়ে কমমূল্যে বিক্রি করার কথা বলে প্রলোভন দেখাতো। আর ওই ব্যক্তি রাজি হলেই টাকার বিনিময়ে ওপরে কয়েকটি রিয়েল নোট ভেতরে কাগজ দিয়ে বানানো বান্ডেল দিয়ে কেটে পড়তো। এর বাইরে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারের যাত্রীদের টার্গেট করতো। তারা গাড়ির বাইরে থেকে রিয়েলের নোট দেখাতো, এবং অনেক নোট আছে বলে জানাতো। এ সময় কমদামে কিনতে আগ্রহী সেজে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা আসতো। তখন টার্গেট করা ব্যক্তি কেনার ফাঁদে পা দিলে তারা টাকার বিনিময়ে রিয়েলভর্তি ব্যাগ দিয়ে পুলিশ দেখে ফেলবে বলে দ্রুত কেটে পড়তো। কিছু বুঝে উঠার আগেই কাগজ বা কাপড়-দিয়ে মোড়ানো ভুয়া বান্ডেলে প্রতারণার শিকার হতো টার্গেট করা ব্যক্তি। এছাড়া, হজ ক্যাম্পকে টার্গেট করে চলতো তাদের প্রতারণা। সেখানে গ্রাম থেকে আসা লোকদের ফাঁদে ফেলে এ পর্যন্ত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। কখনো কখনো নিজেরা বোকা সেজে টার্গেট করা ব্যক্তিকে বোকা বানাতো। রিয়েলের নোট দেখিয়ে কিছু বুঝেনা এমন ভাব নিতো। আর সেই সুযোগে টার্গেট করা ব্যক্তি রিয়েল কেনার জন্য রাজি হলেই প্রতারণার শিকার হতো। চক্রটি রিয়েল হস্তান্তর করার জন্য বিভিন্ন শপিংমল কিংবা জনবহুল জায়গা ঠিক করতো, যেন টাকা নিয়ে দ্রুত কেটে পড়তে পারে। র‌্যাব-১ অধিনায়ক আরও বলেন, আবু শেখ এ চক্রের মূল হোতা। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে সাত জনের এ চক্রটি অভিনব পন্থায় প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। এমন আরও দুই-একটি চক্র রাজধানীতে সক্রিয় থাকতে পারে, তাদের বিষয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১ এর মিডিয়া শাখার এএসপি শারমিন।