ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিজয়নগরে ইউএনও কক্ষে প্রবেশ নিয়ে কথা কাটাকাটি

মোঃ কেফাইতুল ভুইয়া।
বিজয়নগর প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে প্রবেশ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গণপূর্তের প্রকৌশলীরা বিনা অনুমতিতে কক্ষে ঢুকেই ইউএনও’র সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। প্রকৌশলীর ভাষ্য, কক্ষে প্রবেশের পর ইউএনও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গণপূর্ত ও ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় একটি কারগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বিজয়নগর উপজেলার আগের ইউএনও উপজেলার মির্জাপুর মৌজায় নদীর পাড়ে দেড় একর একটি জায়গা নির্ধারণ করেন। গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জায়গাটি পরিদর্শন করে গণপূর্ত বিভাগকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলে। গণপূর্ত বিভাগ গত সপ্তাহে উপজেলার মির্জাপুর মৌজার নদীর পাড়ের দেড় একর জায়গাটি পরিদর্শন করে বাছাই করা জায়গাটি টিটিসি নির্মানের উপযোগী নয় বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান। সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন করে জায়গা নির্ধারণ করতে ইউএনও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মজুমদার, উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল আহমদে, রুহুল আমিন ও আহমদ আল মামুন সরকার বিজয়নগর উপজেলায় যান। তাঁরা চারজনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাতের কক্ষে প্রবেশ করেন। সেসময় কক্ষে প্রবেশ নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে চার প্রকৌশলীর কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় ইউএনও’র কক্ষে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিল। তাঁদের চিৎকার শুনে ইউএনও’র কার্যালয়ে অন্যান্য লোকজন জড়ো হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আহমদ আল মামুন বলেন, ইউএনও’র কার্যালয়ের বাইরে থাকা অফিস সহকারী ইউএনও’র কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই আমাদের ভেতরে যেতে বলেন। ভেতরে প্রবেশ করতেই ইউএনও কেন কক্ষের ভেতরে ঢুকলাম এর জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান বলেন, গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ধরজায় সজোরে ধাক্কা দিয়ে অনেকটা মাস্তানের মতো ইউএনও’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের কক্ষে প্রবেশের ধরণের মধ্যে কোনো শালীনতা বা বিনয় ছিল না। এসময় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইউএনওকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনার তো শাস্তিস্বরূপ বান্দরবান বদলি হয়েছে। সঠিক বদলি হয়েছে। আপনি এখনো এখানে আছেন কেন। তিনি বলেন, আমি তাদের থামাতে চেষ্টা করেছি। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শামাল দিতে প্রকৌশলীদের বাইরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা কোনোতেই কথা শুনতে রাজি হচ্ছিল না। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে তারা চলে যেতে চেয়েছিল। আমি সমাধানের জন্য তাদের আমার কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে ইউএনও’র কাছে নিশর্ত ক্ষমা চেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম ইয়াছির আরাফাত বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন”

বিজয়নগরে ইউএনও কক্ষে প্রবেশ নিয়ে কথা কাটাকাটি

আপডেট টাইম ০৫:২৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১

মোঃ কেফাইতুল ভুইয়া।
বিজয়নগর প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে প্রবেশ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গণপূর্তের প্রকৌশলীরা বিনা অনুমতিতে কক্ষে ঢুকেই ইউএনও’র সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। প্রকৌশলীর ভাষ্য, কক্ষে প্রবেশের পর ইউএনও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গণপূর্ত ও ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলায় একটি কারগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বিজয়নগর উপজেলার আগের ইউএনও উপজেলার মির্জাপুর মৌজায় নদীর পাড়ে দেড় একর একটি জায়গা নির্ধারণ করেন। গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জায়গাটি পরিদর্শন করে গণপূর্ত বিভাগকে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলে। গণপূর্ত বিভাগ গত সপ্তাহে উপজেলার মির্জাপুর মৌজার নদীর পাড়ের দেড় একর জায়গাটি পরিদর্শন করে বাছাই করা জায়গাটি টিটিসি নির্মানের উপযোগী নয় বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান। সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন করে জায়গা নির্ধারণ করতে ইউএনও’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মজুমদার, উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল আহমদে, রুহুল আমিন ও আহমদ আল মামুন সরকার বিজয়নগর উপজেলায় যান। তাঁরা চারজনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাতের কক্ষে প্রবেশ করেন। সেসময় কক্ষে প্রবেশ নিয়ে ইউএনও’র সঙ্গে চার প্রকৌশলীর কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় ইউএনও’র কক্ষে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিল। তাঁদের চিৎকার শুনে ইউএনও’র কার্যালয়ে অন্যান্য লোকজন জড়ো হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আহমদ আল মামুন বলেন, ইউএনও’র কার্যালয়ের বাইরে থাকা অফিস সহকারী ইউএনও’র কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই আমাদের ভেতরে যেতে বলেন। ভেতরে প্রবেশ করতেই ইউএনও কেন কক্ষের ভেতরে ঢুকলাম এর জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান বলেন, গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ধরজায় সজোরে ধাক্কা দিয়ে অনেকটা মাস্তানের মতো ইউএনও’র কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের কক্ষে প্রবেশের ধরণের মধ্যে কোনো শালীনতা বা বিনয় ছিল না। এসময় উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইউএনওকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনার তো শাস্তিস্বরূপ বান্দরবান বদলি হয়েছে। সঠিক বদলি হয়েছে। আপনি এখনো এখানে আছেন কেন। তিনি বলেন, আমি তাদের থামাতে চেষ্টা করেছি। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শামাল দিতে প্রকৌশলীদের বাইরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা কোনোতেই কথা শুনতে রাজি হচ্ছিল না। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে তারা চলে যেতে চেয়েছিল। আমি সমাধানের জন্য তাদের আমার কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে ইউএনও’র কাছে নিশর্ত ক্ষমা চেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম ইয়াছির আরাফাত বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়।