মোঃ কেফাইতুল ভুইয়া। বিজয়নগর, (ব্রাহ্মনবাড়িয়া) প্রতিনিধি।
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের জালালপুর দিঘীর পাড় থেকে রহিমা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ মার্চ) সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের প্রবেশের মুখে শেখের দিঘীর পশ্চিম দক্ষিণ পাড় বনাঞ্চলঘেরা কর্ণার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রহিমা বেগম উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের মেকশিমুল গ্রামের শাহিদ মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শাহিদ মিয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী একজন অক্ষম ব্যক্তি।তার স্ত্রী জীবিকার্জনের জন্য প্রতিদিন নিজ গ্রাম থেকে হরষপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান।
আজ শনিবার গ্রামের কয়েকজন মহিলা সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে সকাল হাঁটতে বের হয়ে দিঘির পাড়ে এসে হঠাৎ মৃত্যু মহিলার লাশ দেখে এলাকার মানুষকে খবর দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন)মোঃ রহিছ উদ্দিন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এসময় হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হরষপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সালাহ উদ্দিন সেলিম,বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব আহবায়ক এস এম কামরুল হাসান শান্তসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিল।
হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘রহিমা একজন নিরীহ মহিলা। আমার জানা মতে তার কোনও শত্রু ছিল না। তার স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র হওয়ায় অভাবের টানাপড়েন ছিল দীর্ঘ দিনের। তাই সে আশেপাশের গ্রামে কাজ করার জন্য প্রতিদিন সকালে যেয়ে রাতে ফিরে আসত। এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।আমি প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি’।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ প্রক্রিয়া চলছে।অভিযোগ পাবার পরে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।