ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

বাসদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রতীক ‘মই’ও ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। গতকাল শনিবার সেগুন বাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

ইশতেহার ঘোষণায় খালেকুজ্জামান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। বাম গণতান্ত্রিক জোট ১৩১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরমধ্যে আমারা ৪৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী খালেকুজ্জামান লিপন, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শম্পা বসু, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী এস. এম. আহসান হাবিব বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব প্রমুখ।

ইশ‌তেহার যা রয়েছে-
রাজনৈতিক, গণতন্ত্র-সুশাসন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা, অসম্পূর্ণতা দূর করে ’৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সকল কালাকানুন ও ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, সাংবিধানিক সকল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদ- নির্ধারণ করে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ এবং স্বাধীনভাবে পরিচালনার ঘোষণা দেয়া হয়।

ইশতেহারে রিমান্ডে, পুলিশ হেফাজতে শারীরিক মানসিক নির্যাতন বন্ধ, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন বন্ধ, অতীতের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার, দুর্নীতি বন্ধ, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরৎ আনা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯ থেকে কমিয়ে আনা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, না ভোটের বিধান চালু, প্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান চালু, সংসদ সদস্যদের ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি আমদানী বন্ধ, সর্বজনীন শিক্ষা চালু, শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬% বরাদ্দ, ডাকসুসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, পিইসি, জেএসসি বাতিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নির্ধারণ, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, জিডিপির ৫% স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দ, কৃষি খাতে ভর্তুকী বাড়ানো, ক্রয় কেন্দ্র চালু, ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, উৎপাদক ও বিক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, গ্রাম-শহরের শ্রমজীবীদের জন্য আমিং রেটে রেশনিং চালু, পরিবেশ রক্ষায় কার্যর উদ্যোগ গ্রহণ, বন, পাহাড়, নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করা, পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি-হকার, রিক্সা উচ্ছেদ না করা, জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করা, সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, ঝুঁকিপূর্ণ রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল ও জাতীয় কমিটির বিকল্প জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন, সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ, পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিতসহ তাদের জীবনের বিকাশের পথ অবারিত করা, সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, ফতোয়া নিষিদ্ধের আদালতের রায় বাস্তবায়ন, নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া, বিয়ের বয়স ২০ বছর করা, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করে সরাসরি নির্বাচন, সিডও সনদ পূর্ণ বাস্তবায়ন, ইউনিফরম সিভিল কোড চালু, সমকাজে সমমজুরি, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা, সক্ষম সকল নারী-পুরুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দান, বাজেটসহ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ রাখা, সক্ষম সকল মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, বেকার ভাতা প্রদান, কোটার যৌক্তিক সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৬ দফা বাস্তবায়ন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, পানি নীতি প্রণয়ন, যুবক ও তারুণ্যের শক্তিকে মাদক, হতাশা, অনিশ্চয়তা মুক্ত করে দেশ গড়ার কাজে নিয়োগ, অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা রোধ, পর্ণোগ্রাফী, অশ্লীল চলচ্চিত্র, পর্ণো পত্রিকা তৈরি ও আমদানী বন্ধ করা, জোট নিরপেক্ষ পরারাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করাসহ সতের দফা অঙ্গীকার ও করণীয় ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে বলা হয়, আমরা নির্বাচিত হলে পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে জনস্বার্থে করণীয় কাজ ও দাবি আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করবো যাতে সরকারের যে কোন গণবিরোধী পদক্ষেপকে মোকাবিলা করে তা থামানো যায় এবং যে মাত্রায়ই হোক, গণদাবি আদায় করা সম্ভব হয়। যে আলামত দেখা যাচ্ছে তাতে ভোট কেন্দ্র দখলের নির্বাচন যদি হয়, তাতে আমরা পার্লামেন্টে যেতে না পারলেও জনস্বার্থে করণীয় কাজ ও দাবি আদায়ের সংগ্রাম আমরা দলগত এবং জোটগতভাবে চালিয়ে যাবো। আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে এবং ক্রমাগত চাপবৃদ্ধি করে গণদাবি আদায়ে সাফল্য আনার ও সংগঠন-আন্দোলন বিকশিত ও শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাবো যাতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র শাসন ক্ষমতা দখলের পথ সুগম হয়। ভবিষ্যতে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ক্ষমতা লাভে কৃতকার্য হলে আমরা স্বল্পমেয়াদি ও সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম গ্রহণ করবো। দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সকল শক্তির সহযোগে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে আমরা অগ্রসর হবো। আমাদের দলের দাবিনামা ও করণীয় কর্তব্য কর্মের দিকদিশা রয়েছে। নির্বাচনের হালচাল দেখে আমরা পরবর্তীতে সেগুলি আরও বিশদ ও সুনির্দিষ্ট করে হাজির করার চেষ্টা করবো।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

বাসদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

আপডেট টাইম ০৬:১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রতীক ‘মই’ও ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। গতকাল শনিবার সেগুন বাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

ইশতেহার ঘোষণায় খালেকুজ্জামান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। বাম গণতান্ত্রিক জোট ১৩১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরমধ্যে আমারা ৪৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী খালেকুজ্জামান লিপন, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী শম্পা বসু, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী এস. এম. আহসান হাবিব বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব প্রমুখ।

ইশ‌তেহার যা রয়েছে-
রাজনৈতিক, গণতন্ত্র-সুশাসন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা, অসম্পূর্ণতা দূর করে ’৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সকল কালাকানুন ও ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, সাংবিধানিক সকল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদ- নির্ধারণ করে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ এবং স্বাধীনভাবে পরিচালনার ঘোষণা দেয়া হয়।

ইশতেহারে রিমান্ডে, পুলিশ হেফাজতে শারীরিক মানসিক নির্যাতন বন্ধ, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন বন্ধ, অতীতের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার, দুর্নীতি বন্ধ, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরৎ আনা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯ থেকে কমিয়ে আনা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, না ভোটের বিধান চালু, প্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান চালু, সংসদ সদস্যদের ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি আমদানী বন্ধ, সর্বজনীন শিক্ষা চালু, শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬% বরাদ্দ, ডাকসুসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, পিইসি, জেএসসি বাতিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন টিউশন ফি নির্ধারণ, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, জিডিপির ৫% স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দ, কৃষি খাতে ভর্তুকী বাড়ানো, ক্রয় কেন্দ্র চালু, ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, উৎপাদক ও বিক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, গ্রাম-শহরের শ্রমজীবীদের জন্য আমিং রেটে রেশনিং চালু, পরিবেশ রক্ষায় কার্যর উদ্যোগ গ্রহণ, বন, পাহাড়, নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করা, পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি-হকার, রিক্সা উচ্ছেদ না করা, জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করা, সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, ঝুঁকিপূর্ণ রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল ও জাতীয় কমিটির বিকল্প জ্বালানি নীতি বাস্তবায়ন, সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ, পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিতসহ তাদের জীবনের বিকাশের পথ অবারিত করা, সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, ফতোয়া নিষিদ্ধের আদালতের রায় বাস্তবায়ন, নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া, বিয়ের বয়স ২০ বছর করা, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করে সরাসরি নির্বাচন, সিডও সনদ পূর্ণ বাস্তবায়ন, ইউনিফরম সিভিল কোড চালু, সমকাজে সমমজুরি, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা, সক্ষম সকল নারী-পুরুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দান, বাজেটসহ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ রাখা, সক্ষম সকল মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, বেকার ভাতা প্রদান, কোটার যৌক্তিক সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৬ দফা বাস্তবায়ন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, পানি নীতি প্রণয়ন, যুবক ও তারুণ্যের শক্তিকে মাদক, হতাশা, অনিশ্চয়তা মুক্ত করে দেশ গড়ার কাজে নিয়োগ, অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা রোধ, পর্ণোগ্রাফী, অশ্লীল চলচ্চিত্র, পর্ণো পত্রিকা তৈরি ও আমদানী বন্ধ করা, জোট নিরপেক্ষ পরারাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করাসহ সতের দফা অঙ্গীকার ও করণীয় ঘোষণা করা হয়।

ইশতেহারে বলা হয়, আমরা নির্বাচিত হলে পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে জনস্বার্থে করণীয় কাজ ও দাবি আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করবো যাতে সরকারের যে কোন গণবিরোধী পদক্ষেপকে মোকাবিলা করে তা থামানো যায় এবং যে মাত্রায়ই হোক, গণদাবি আদায় করা সম্ভব হয়। যে আলামত দেখা যাচ্ছে তাতে ভোট কেন্দ্র দখলের নির্বাচন যদি হয়, তাতে আমরা পার্লামেন্টে যেতে না পারলেও জনস্বার্থে করণীয় কাজ ও দাবি আদায়ের সংগ্রাম আমরা দলগত এবং জোটগতভাবে চালিয়ে যাবো। আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে এবং ক্রমাগত চাপবৃদ্ধি করে গণদাবি আদায়ে সাফল্য আনার ও সংগঠন-আন্দোলন বিকশিত ও শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাবো যাতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র শাসন ক্ষমতা দখলের পথ সুগম হয়। ভবিষ্যতে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল ক্ষমতা লাভে কৃতকার্য হলে আমরা স্বল্পমেয়াদি ও সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম গ্রহণ করবো। দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সকল শক্তির সহযোগে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নে আমরা অগ্রসর হবো। আমাদের দলের দাবিনামা ও করণীয় কর্তব্য কর্মের দিকদিশা রয়েছে। নির্বাচনের হালচাল দেখে আমরা পরবর্তীতে সেগুলি আরও বিশদ ও সুনির্দিষ্ট করে হাজির করার চেষ্টা করবো।