হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বানিয়াচং সদর ২নং ইউনিয়নের ১ওয়ার্ড মেম্বার তখলিছ মিয়া সুলাটেকা গ্রামের বাহার মিয়ার স্ত্রীকে ধর্ষণের সময় জনতার হাতে ধরাশায়ীর অভিযোগ উঠেছে।
এসময় জনতার হাতে আটক কৃত তখলিছ মেম্বারকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় ফিল্মীস্টাইলে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করেছে তার লোকজন। এ সময় হামলায় প্রতিবাদকারী যুবক ইউছুব মিয়াকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ রাত ৯ টায় ওই গৃহবধুর বসতগৃহে। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারী ২০২৩ নির্যাতিতার স্বামী বাহার মিয়া বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় অভিযোগ এবং আহত ব্যক্তির পক্ষে সৈদ্যাটুলা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া হবিগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে ৮-জানুয়ারী পৃথক দৃটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এফআই আর গণ্যে রুজু করে বানিয়াচং থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন মামলা নং সি আর ১/ ২০২৩।
উভয় মামলার আসামীরা হলেন সৈদ্যাটুলা গ্রামের মৃত তৈয়ব মেম্বারের পুত্র তখলিছ মেম্বার, তকবির মিয়া, তছকির মিয়া, আব্দু শহীদ মিয়ার পুত্র আফজল মিয়া,
মুসলিম উল্লার পুত্র মোফাজ্জল মিয়া, মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র সাগর মিয়াসহ ১৭ জন মামলার বিবরণে জানা যায়, ২৯ ডিসেম্বর রাত ৯ টায় মেম্বার তখলিছ ওই গৃহবধুর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় পরে টিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন তখলিছকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। ঘটনার খবর পেয়ে তখলিছ মেম্বারের লোকজন ট্রলিযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুলাটেকা গিয়ে ফিল্মীস্টাইলে তাকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় প্রতিবাদকারী ইউছুব মিয়াকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে উদ্ধারকারীরা, বানিয়াচং থানায় দায়েরকৃত নির্যাতিতার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বরত এস আই অঞ্জন কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষদ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।