ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বাগেরহাটে জেলা পরিষদের লাখ লাখ টাকার গাছ লোপাট

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলায় জেলা পরিষদের সরকারী পুকুর খনন কালে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের ১২ টি পুকুর পূনঃ খননের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের তদারকিতে উক্ত খনন কাজ শুরু হয়।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার অভিযােগ। ওই দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে খুলনা ও গোপালগঞ্জের ৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুকুরের চতুর পার্শ্বে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে নেয়। সরকারী সম্পদ এভাবে হরিলুট হওয়ায় সচেতন মহলে এ নিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিয়মানুযায়ী পুকুরের চার দিকের গাছ গুলো জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়া কেউ কাটতে পরবে না। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কালে কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হলে তা কেটে জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দেয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র সম্পুর্ন উল্টো। উপজেলার কোথাও কেটে ফেলা গাছ গুলো সংরক্ষনে নেই। উপজেলার বগী এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, আমি উপজেলার অফিস ও ঠিকাদারকে বলে ২/৩ টি গাছ কেটে নিয়েছি। এ ব্যাপারে একই এলাকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের রহস্য জনক ভূমিকার কারনে গাছ গুলো লোপাট হয়েছে। এতে বহু টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। শুনেছি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী আবু হানিফ কর্মকর্তাদের নামে ঘুষ নিয়ে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য বিভাগের কিছু লোভী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারনে অনিয়ম অনেকটা নিয়মে পরিনত হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্ম কান্ডের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। এবং সরকারের মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সচ্ছতা ও জবাব দিহীতা নিশ্চিত না হলে আধুনিক সোনার বাংলা গড়তে বেগ পেতে হবে। তবে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কর্তনের খবর শুনেছি। আমরা কাউকে কোন অনুমতি দেইনি। এছাড়া ওই গাছ গুলোর মালিক জেলা পরিষদ। আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। এছাড়া তার দপ্তরের কেউ কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নেই। এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু জানান, নিয়ম অনুসারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পুকুর খনন শেষে পরিষদকে বুঝিয়ে দেবে কিন্তুু গাছ লুটের বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেননি। তবে লুট কারীদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বাগেরহাটে জেলা পরিষদের লাখ লাখ টাকার গাছ লোপাট

আপডেট টাইম ০১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলায় জেলা পরিষদের সরকারী পুকুর খনন কালে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে উপজেলার ৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের ১২ টি পুকুর পূনঃ খননের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের তদারকিতে উক্ত খনন কাজ শুরু হয়।উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার অভিযােগ। ওই দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে খুলনা ও গোপালগঞ্জের ৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুকুরের চতুর পার্শ্বে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে নেয়। সরকারী সম্পদ এভাবে হরিলুট হওয়ায় সচেতন মহলে এ নিয়ে অনেকটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিয়মানুযায়ী পুকুরের চার দিকের গাছ গুলো জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়া কেউ কাটতে পরবে না। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কালে কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হলে তা কেটে জেলা পরিষদকে বুঝিয়ে দেয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র সম্পুর্ন উল্টো। উপজেলার কোথাও কেটে ফেলা গাছ গুলো সংরক্ষনে নেই। উপজেলার বগী এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, আমি উপজেলার অফিস ও ঠিকাদারকে বলে ২/৩ টি গাছ কেটে নিয়েছি। এ ব্যাপারে একই এলাকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের রহস্য জনক ভূমিকার কারনে গাছ গুলো লোপাট হয়েছে। এতে বহু টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। শুনেছি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী আবু হানিফ কর্মকর্তাদের নামে ঘুষ নিয়ে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য বিভাগের কিছু লোভী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারনে অনিয়ম অনেকটা নিয়মে পরিনত হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্ম কান্ডের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। এবং সরকারের মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সচ্ছতা ও জবাব দিহীতা নিশ্চিত না হলে আধুনিক সোনার বাংলা গড়তে বেগ পেতে হবে। তবে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কর্তনের খবর শুনেছি। আমরা কাউকে কোন অনুমতি দেইনি। এছাড়া ওই গাছ গুলোর মালিক জেলা পরিষদ। আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। এছাড়া তার দপ্তরের কেউ কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নেই। এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু জানান, নিয়ম অনুসারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পুকুর খনন শেষে পরিষদকে বুঝিয়ে দেবে কিন্তুু গাছ লুটের বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেননি। তবে লুট কারীদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।