বাকেরগঞ্জ( বরিশাল) প্রতিনিধি।
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন ওরফে( রফিক) মাস্টারের নামে প্রতারণার দায়ে আদালতে ভিন্ন দুটি মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায় যে,উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ফিরোজ খন্দকারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে আয়া পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে বড় পুইয়াউটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন ওরফে( রফিক) মাস্টার সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী ফিরোজ খন্দকারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সুসম্পর্কের ফাঁদে ফেলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০২১ সালের ১ লা জানুয়ারি ফিরোজ খন্দকারের নিকট থেকে নগদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু উক্ত বিদ্যালয়ের ঠকবাজ প্রতারক প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন ওরফে রফিক মাস্টার তাহার সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে তার পরিবর্তে দিলারা বেগম নামেরএক জনকে উক্ত পদে চাকরির নিয়োগ দেয়।এই কারনে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন তাহার প্রদত্ত টাকা ফেরত চাইলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজ নয় কাল এই বলিয়া ঘুরাইতে থাকেন।অতঃপর গত ৪ ঠা নভেম্বর রোজ শুক্রবার সকাল অনুমান ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিনের বসত ঘরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সম্মুখে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে ভুক্তভোগী তার প্রদত্ত টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট ফেরত চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে বলেন,তোর কাছ থেকে নেওয়ার টাকা ফেরত দিব না,পারলে আদায় করে নিস । এছাড়াও উক্ত ঠকবাজ,প্রতারক প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন ও তাঁর পরিবারবর্গকে বিভিন্ন প্রকারের খুন জখমের হুমকি প্রদান করা সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিলে ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন গত ০৭ ই নভেম্বর বাদী হয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ঠকবাজ,প্রতারক প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন ওরফে রফিক মাস্টারকে আসামি করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বরিশালে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের-৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় সি.আর-৭২৭(বাকেরগঞ্জ) মোকদ্দমা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে অফিসার ইনচার্জ,জেলা সি.আই.ডি শাখা, বরিশালকে তদন্তের জন্য আদেশ দেন। অপরদিকে একই ভাবে উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামের মৃত জালাল গাজীর পুত্র মিজানুর রহমানকে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী দিবে বলে উক্ত বিদ্যালয়ের ঠকবাজ, ভন্ড,প্রতারক প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন ওরফে রফিক মাস্টার ২০২০ সালের ২০ শে ডিসেম্বর রোজ রবিবার বিকাল অনুমান ০৫ঃ০০ ঘটিকার সময় মিজানুর রহমানের বসত ঘরে থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। উক্ত ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করা সত্বেও তাকে উক্ত পদে চাকুরী না দিয়ে অন্য জনকে চাকুরী দেওয়ায় তাহার টাকা ফেরত চাইলে ঠকবাজ প্রতারক প্রধান শিক্ষক তাহার টাকা আজ নয় কাল নয় দিবে বলে বিভিন্নভাবে ঘুরাইতে থাকেন।অতঃপর গত ০৫ ই নভেম্বর রোজ শনিবার সকাল অনুমান ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় উক্ত ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের উপস্থিতিতে এক সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশি বৈঠকে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের পাওনা কৃত টাকা ফেরত চাইলে উক্ত টাকা ফেরত দিতে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, তোর কাছ থেকে দেওয়া টাকা ফেরত দিবে না বলে বরং উল্টো ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান সহ তাঁর পরিবারবর্গকে বিভিন্ন প্রকারের খুন-জখমের হুমকি প্রদান করা সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিবে বলেও হুমকি প্রদান করিলে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এমদাদ হোসেন ওরফে রফিক মাস্টারকে আসামি করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বরিশালে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় সি.আর-৭২৯/২০২২(বাকেরগঞ্জ) মোকদ্দমা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে অফিসার ইনচার্জ, বরিশাল জেলা শাখাকে তদন্তের আদেশ দেন। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।