ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ

বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবহেলায় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে অব্যাহতি।

গাজী মোঃ কবির আহাম্মেদ বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি :

বরিশালের বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবেহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সুত্রে জানা গেছে, চলতি এস,এস, সি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জে,এস, ইউ মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২নং রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। মঙ্গলবার রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পিছনের একটি সিটে বসে কলেজ পড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে তার খাতায় উত্তর লিখে দেয়। এমনকি পরীক্ষার্থী হিমির মা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কন্যার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই কক্ষে প্রবেশের পূর্বেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে রুম থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
পরীক্ষার হলের সিট প্লানেও এর সত্যটা মিলছে না, নাম প্রকাশে একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি পরীক্ষা শুরু থেকেই হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর খাতায় উত্তর লিখে সেটাই জমা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটপ্লান স্যারেরা করেছে। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পিছনের সিট টি ফাঁকা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি পরীক্ষার হলে গিয়ে ড্যামি ওই পরীক্ষার্থীকে পাননি। একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যদি অন্যকেউ বসে তার খাতায় লিখে দেয় তার ব্যর্থতার দায় কেন্দ্র সচিবের। তিনি অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড

বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবহেলায় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে অব্যাহতি।

আপডেট টাইম ০৭:৪৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

গাজী মোঃ কবির আহাম্মেদ বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি :

বরিশালের বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবেহেলার জন্য কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সুত্রে জানা গেছে, চলতি এস,এস, সি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জে,এস, ইউ মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২নং রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। মঙ্গলবার রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পিছনের একটি সিটে বসে কলেজ পড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে তার খাতায় উত্তর লিখে দেয়। এমনকি পরীক্ষার্থী হিমির মা উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কন্যার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই কক্ষে প্রবেশের পূর্বেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে রুম থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
পরীক্ষার হলের সিট প্লানেও এর সত্যটা মিলছে না, নাম প্রকাশে একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি পরীক্ষা শুরু থেকেই হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর খাতায় উত্তর লিখে সেটাই জমা দিয়ে আসছে। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা চলছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটপ্লান স্যারেরা করেছে। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পিছনের সিট টি ফাঁকা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি পরীক্ষার হলে গিয়ে ড্যামি ওই পরীক্ষার্থীকে পাননি। একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যদি অন্যকেউ বসে তার খাতায় লিখে দেয় তার ব্যর্থতার দায় কেন্দ্র সচিবের। তিনি অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।