ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে কথিত কাজীকে অপরনের পর উদ্ধার, হামলায় দুই পুলিশ আহত

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি-
বরিশালের বাকেরগঞ্জে খবির হাওলাদার নামে এক কথিত কাজীকে অপহরন করা হয়েছে। অপহরনের পর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মনির ও এএসআই হাফিজসহ দুইজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার সময় বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকার মহিউদ্দীন রানাসহ ১০-১২ জন খবির হাওলাদারকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার থেকে অপহরণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। ঘটনাটি বাকেরগঞ্জ থানায় জানালে এসআই মনির ও এএসআই হাফিজ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জানতে পারেন অপহরনকারীরা খবিরকে নিয়ে বরিশালে কাছাকাছি অবস্থান করছে। তখন পুলিশের ওই দুই অফিসার সাদা পোষাকে খবিরকে উদ্ধার করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইলে অপহরণকারীদের মারধরের ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় একজন যুবক জানায়, ভিডিও ধারণ করতে গেলে অপহরণকারীরা ওই দুই পুলিশ অফিসারকে মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অপহৃত খবির হাওলাদারসহ দুই পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করেন।

অপরনের ঘটনা এবং উদ্ধার কাজে গাফিলতির বিষয়ে এস আই মনিরের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারন তিনি যখন জানতে পারেন অপহরনকারীরা খবিরকে নিয়ে বরিশালের পথে যাচ্ছে। তখন তিনি নলছিটি থানা, বরিশাল বন্দর থানা, এমনকি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতেও জানায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এস আই মনির ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে অপহরণকারীদের সাথে দফারফার চেষ্টা করেন। দফারফা ব্যর্থ হলে তিনি তখন ভিডিও করা শুরু করেন।ওই সময় দুই পুলিশ অফিসারকেও মারধর করে তাদের ফোন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়দের অভিমত এস আই মনির যদি অপহরনকারীদের পিছু পিছু যাবার আগে নলছিটি তানা, বরিশাল বন্দর থানা বা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতে জানাত তাহলে খুব সহজেই অপহৃতকে উদ্ধার করে অপহরনকারীদের গ্রেপ্তার করা যেত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন রনির সাথে নলছিটি থানার চৌদ্দপুরিয়া গ্রামের একটি মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তারই জের ধরে গত এক মাস আগে ওই মেয়ে রনিকে তার এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর ওই মেয়ে বোয়ালিয়া এলাকার কথিত কাজী খবির হাওলাদার সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে দেড় লক্ষ টাকা দেনমোহরে রনির সাথে বিবাহ পরায়। অথচ রনি বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। কথিত কাজী খবির হাওলাদারের সহায়তায় জোর করে ওই মেয়ের সাথে বিবাহ পরানোর কারনেই রনিরা তাকে অপহরন করেছে বলে একটি গোপন সুত্র জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জন অপহরনকারী মহিউদ্দিন রনি, ফিরোজ আলম ও সোহাগকে আটক এবং থানায় একটি মামলা হয়েছে।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন অপহরনের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহৃতকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এস আই মনিরের সাদা পোষাকে অন্য এলাকায় গিয়ে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বাকেরগঞ্জে কথিত কাজীকে অপরনের পর উদ্ধার, হামলায় দুই পুলিশ আহত

আপডেট টাইম ১০:০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি-
বরিশালের বাকেরগঞ্জে খবির হাওলাদার নামে এক কথিত কাজীকে অপহরন করা হয়েছে। অপহরনের পর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মনির ও এএসআই হাফিজসহ দুইজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার সময় বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকার মহিউদ্দীন রানাসহ ১০-১২ জন খবির হাওলাদারকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার থেকে অপহরণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। ঘটনাটি বাকেরগঞ্জ থানায় জানালে এসআই মনির ও এএসআই হাফিজ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জানতে পারেন অপহরনকারীরা খবিরকে নিয়ে বরিশালে কাছাকাছি অবস্থান করছে। তখন পুলিশের ওই দুই অফিসার সাদা পোষাকে খবিরকে উদ্ধার করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইলে অপহরণকারীদের মারধরের ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় একজন যুবক জানায়, ভিডিও ধারণ করতে গেলে অপহরণকারীরা ওই দুই পুলিশ অফিসারকে মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অপহৃত খবির হাওলাদারসহ দুই পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করেন।

অপরনের ঘটনা এবং উদ্ধার কাজে গাফিলতির বিষয়ে এস আই মনিরের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারন তিনি যখন জানতে পারেন অপহরনকারীরা খবিরকে নিয়ে বরিশালের পথে যাচ্ছে। তখন তিনি নলছিটি থানা, বরিশাল বন্দর থানা, এমনকি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতেও জানায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এস আই মনির ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে অপহরণকারীদের সাথে দফারফার চেষ্টা করেন। দফারফা ব্যর্থ হলে তিনি তখন ভিডিও করা শুরু করেন।ওই সময় দুই পুলিশ অফিসারকেও মারধর করে তাদের ফোন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়দের অভিমত এস আই মনির যদি অপহরনকারীদের পিছু পিছু যাবার আগে নলছিটি তানা, বরিশাল বন্দর থানা বা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতে জানাত তাহলে খুব সহজেই অপহৃতকে উদ্ধার করে অপহরনকারীদের গ্রেপ্তার করা যেত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন রনির সাথে নলছিটি থানার চৌদ্দপুরিয়া গ্রামের একটি মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তারই জের ধরে গত এক মাস আগে ওই মেয়ে রনিকে তার এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর ওই মেয়ে বোয়ালিয়া এলাকার কথিত কাজী খবির হাওলাদার সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে দেড় লক্ষ টাকা দেনমোহরে রনির সাথে বিবাহ পরায়। অথচ রনি বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। কথিত কাজী খবির হাওলাদারের সহায়তায় জোর করে ওই মেয়ের সাথে বিবাহ পরানোর কারনেই রনিরা তাকে অপহরন করেছে বলে একটি গোপন সুত্র জানায়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জন অপহরনকারী মহিউদ্দিন রনি, ফিরোজ আলম ও সোহাগকে আটক এবং থানায় একটি মামলা হয়েছে।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন অপহরনের সত্যতা স্বীকার করে জানান, অপহৃতকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এস আই মনিরের সাদা পোষাকে অন্য এলাকায় গিয়ে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।