ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বাউফলে কলেজ অধ্যক্ষের( ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে যত অনিয়ম।

বিপ্লব চন্দ্র মাতব্বর,সিনিয়র রিপোর্টার।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ইদ্রিস মেল্লা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
তিনি প্রথমে বিএনপির তকমা গায় লাগিয়ে সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের আমলে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন এবং ৬ /৭ বছরে বিল করাতে না পারায় পরবর্তীতে একই কলেজে কর্মরত অবস্থায় আবার শূন্য পদের বিপরীতে ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার নিয়োগ নেন এবং এমপিওভুক্ত হন। একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে একই শূন্য পদে ২য় বার অবৈধভাবে নিয়োগ নেন। বিষয়টি রহস্য জনক হলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না। সাত বছরের মাথায় কলেজের অধ্যক্ষ মধুসূদন সরকার অবসরে গেলে ম্যানেজিং কমিটি ম্যানেজ করে শিক্ষকদের তালিকায় ২৭ নম্বরের শিক্ষক হয়েও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং শতো অনিয়ম করার পরেও বহাল তবিয়তে টিকে আছেন। এর পূর্বেও তার এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিধি নিষেধ থাকা সত্যেও ক্ষমতার দাপটে পদটি বছরের পর বছর তিনি আটকে রেখেছেন। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে রয়েছে নানা রকম গুঞ্জন ও অসন্তোষ। খবর নিয়ে জানা গেছে মোঃজাকির হোসেন চেয়ারে বসার পর থেকেই তার ইচ্ছে মতো বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠন করে অনৈতিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা,শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে রেজিস্টারে না উঠানো,প্রশংসাপত্র বাবদ ৫০০ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেন ৩০০ টাকা ও বেতনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে কলেজের হিসাবরক্ষ নাসিরের মাধ্যমে কালাইয়া হাটে ব্যবসা পরিচালনা করা তাছাড়াও এবছর ফরমফিলাপের সময় প্রভাবশালী দু একজন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে নিজ ক্ষমতাবলে ৮৭ টি ফরমফিলাপ করেছেন। সেখান থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলেও জমা দিয়েছে ২০০০/২৫০০ টাকা।
করোনাকালে ২০/২১ সেশনেম্যানুয়াল ভর্তির নামে এক একজন ছাত্র ছাত্রির কাছ থেকে ৩০০০ – ১২০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন যার একটি টাকাও কলেজ একাউন্টে জমা হয় নি। ইহা ছারাও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ২০/২১ সেশনে সব ছাত্র ছাত্রি দিয়ে উপবৃত্তির আবেদন করিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা সেশন ফির নামে আদায় করেছেন। ২০১৯ থেকে সরকারি বরাদ্ধের টাকা তুলে দরপত্র ছাড়াই কাজ দেখিয়ে ভাউচার দাখিল করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। শিক্ষকদের সাথেও যখন তখন অশালীন বাক্য বিনিময় করেন। কয়েকজন ছাত্রের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় জাকির হোসেন যখন তখন ছাত্র- ছাত্রিদেরকে তার কহ্মে ডেকে বিনা অপরাধে মরধর করে যা সম্পূর্ণ বে আইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।তাছাড়া শিক্ষক পিয়ন সবার মধ্যেই গ্রুপিং করে নিজের সুবিধা মতো কাজ করে থাকেন, দু চারজন শিক্ষককে বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়ে পক্ষে রেখে অন্য শিক্ষকদের অপদস্ত করেন।সম্প্রতি ইদ্রিস মোল্লা কলেজের পুরানো টিনসেড ভবনটি নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে নিজেই কমিটির আহবায়ক হয়ে পকেটকমিটির মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার ভবনটি মাত্র পয়ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মাউশি বরাবরেও আবেদন হয়েছে।

উপরোক্ত বিষয়ে মোঃ জাকির হোসেনকে মুঠোফোনে জিঙ্গাসা করলে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে পারেন নি। এবং কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আল- আমিন এর কাছে মোঃ জাকির হোসেনের অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে উপাধ্যক্ষ থাকা সত্তেও কীভাবে দ্বায়িত্ব পেলে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি জানি এবং পরিপত্রও পেয়েছি। আমি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবো না। এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

বাউফলে কলেজ অধ্যক্ষের( ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে যত অনিয়ম।

আপডেট টাইম ০৬:২৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

বিপ্লব চন্দ্র মাতব্বর,সিনিয়র রিপোর্টার।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ইদ্রিস মেল্লা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
তিনি প্রথমে বিএনপির তকমা গায় লাগিয়ে সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের আমলে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন এবং ৬ /৭ বছরে বিল করাতে না পারায় পরবর্তীতে একই কলেজে কর্মরত অবস্থায় আবার শূন্য পদের বিপরীতে ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার নিয়োগ নেন এবং এমপিওভুক্ত হন। একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে একই শূন্য পদে ২য় বার অবৈধভাবে নিয়োগ নেন। বিষয়টি রহস্য জনক হলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলছে না। সাত বছরের মাথায় কলেজের অধ্যক্ষ মধুসূদন সরকার অবসরে গেলে ম্যানেজিং কমিটি ম্যানেজ করে শিক্ষকদের তালিকায় ২৭ নম্বরের শিক্ষক হয়েও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং শতো অনিয়ম করার পরেও বহাল তবিয়তে টিকে আছেন। এর পূর্বেও তার এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিধি নিষেধ থাকা সত্যেও ক্ষমতার দাপটে পদটি বছরের পর বছর তিনি আটকে রেখেছেন। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে রয়েছে নানা রকম গুঞ্জন ও অসন্তোষ। খবর নিয়ে জানা গেছে মোঃজাকির হোসেন চেয়ারে বসার পর থেকেই তার ইচ্ছে মতো বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠন করে অনৈতিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা,শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে রেজিস্টারে না উঠানো,প্রশংসাপত্র বাবদ ৫০০ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেন ৩০০ টাকা ও বেতনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে কলেজের হিসাবরক্ষ নাসিরের মাধ্যমে কালাইয়া হাটে ব্যবসা পরিচালনা করা তাছাড়াও এবছর ফরমফিলাপের সময় প্রভাবশালী দু একজন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে নিজ ক্ষমতাবলে ৮৭ টি ফরমফিলাপ করেছেন। সেখান থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলেও জমা দিয়েছে ২০০০/২৫০০ টাকা।
করোনাকালে ২০/২১ সেশনেম্যানুয়াল ভর্তির নামে এক একজন ছাত্র ছাত্রির কাছ থেকে ৩০০০ – ১২০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন যার একটি টাকাও কলেজ একাউন্টে জমা হয় নি। ইহা ছারাও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ২০/২১ সেশনে সব ছাত্র ছাত্রি দিয়ে উপবৃত্তির আবেদন করিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা সেশন ফির নামে আদায় করেছেন। ২০১৯ থেকে সরকারি বরাদ্ধের টাকা তুলে দরপত্র ছাড়াই কাজ দেখিয়ে ভাউচার দাখিল করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। শিক্ষকদের সাথেও যখন তখন অশালীন বাক্য বিনিময় করেন। কয়েকজন ছাত্রের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় জাকির হোসেন যখন তখন ছাত্র- ছাত্রিদেরকে তার কহ্মে ডেকে বিনা অপরাধে মরধর করে যা সম্পূর্ণ বে আইনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।তাছাড়া শিক্ষক পিয়ন সবার মধ্যেই গ্রুপিং করে নিজের সুবিধা মতো কাজ করে থাকেন, দু চারজন শিক্ষককে বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়ে পক্ষে রেখে অন্য শিক্ষকদের অপদস্ত করেন।সম্প্রতি ইদ্রিস মোল্লা কলেজের পুরানো টিনসেড ভবনটি নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে নিজেই কমিটির আহবায়ক হয়ে পকেটকমিটির মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার ভবনটি মাত্র পয়ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মাউশি বরাবরেও আবেদন হয়েছে।

উপরোক্ত বিষয়ে মোঃ জাকির হোসেনকে মুঠোফোনে জিঙ্গাসা করলে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে পারেন নি। এবং কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আল- আমিন এর কাছে মোঃ জাকির হোসেনের অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে উপাধ্যক্ষ থাকা সত্তেও কীভাবে দ্বায়িত্ব পেলে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি জানি এবং পরিপত্রও পেয়েছি। আমি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবো না। এ ব্যাপারে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।