ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া এই মন্ত্রণালয়ে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের দায়িত্ব। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানটা অব্যাহত থাকতে হবে। অভিযান অব্যাহত থাকার সঙ্গে সঙ্গে মাদকমুক্ত করতে হবে। এছাড়া মাদক কারা আনে, কারা পাচারকারী, কারা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু মাদক যে সেবন করে তাকেই নয়, যারা সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে আসতে চায় তাদের সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, কারাগারে কায়েদিদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের মাধ্যমে কিছু উৎপাদন করা। সেটা বিক্রি করে লভ্যাংশটা, যারা কাজ করবে তাদের জন্য রেখে দিলাম। হয় এটা তার পরিবার নিয়ে যাবে বা টাকাটা থাকবে সে যখন মুক্তি পাবে তখন ওই টাকা দিয়ে সে যেন একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। এই ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মতো কালো ব্যাধি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সমাজকে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে হবে। তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা করতে হবে।

এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রজেক্টগুলো যখন তৈরি করেন তখনই জনবল কত প্রয়োজন সেটাও সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করবেন। যাতে প্রজেক্ট পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা লোকবল দিতে পারি। কারণ এই লোকবলকে আগেভাগেই নিয়োগ দিয়ে ট্রেনিং দিতে হবে। বিষয়টিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী এবং অধীন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সেবা সুরক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৩ জানুয়ারি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অফিস করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অফিস করেন তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়তে চাই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১০:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া এই মন্ত্রণালয়ে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের দায়িত্ব। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানটা অব্যাহত থাকতে হবে। অভিযান অব্যাহত থাকার সঙ্গে সঙ্গে মাদকমুক্ত করতে হবে। এছাড়া মাদক কারা আনে, কারা পাচারকারী, কারা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু মাদক যে সেবন করে তাকেই নয়, যারা সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে আসতে চায় তাদের সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, কারাগারে কায়েদিদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের মাধ্যমে কিছু উৎপাদন করা। সেটা বিক্রি করে লভ্যাংশটা, যারা কাজ করবে তাদের জন্য রেখে দিলাম। হয় এটা তার পরিবার নিয়ে যাবে বা টাকাটা থাকবে সে যখন মুক্তি পাবে তখন ওই টাকা দিয়ে সে যেন একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। এই ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির মতো কালো ব্যাধি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সমাজকে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত করতে হবে। তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা করতে হবে।

এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রজেক্টগুলো যখন তৈরি করেন তখনই জনবল কত প্রয়োজন সেটাও সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করবেন। যাতে প্রজেক্ট পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা লোকবল দিতে পারি। কারণ এই লোকবলকে আগেভাগেই নিয়োগ দিয়ে ট্রেনিং দিতে হবে। বিষয়টিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী এবং অধীন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সেবা সুরক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৩ জানুয়ারি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অফিস করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অফিস করেন তিনি।