বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন আজ।নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পুরো পৌর এলাকা।
বাঁশখালীতে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শনিবার রাত বারোটার পর থেকে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার- প্রচারণা। শনিবার পৌরসভার ১১টি কেন্দ্রে মক ভোটিং কার্যক্রমসহ ইভিএম মিশিন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানা ধরনের শঙ্কা বিরাজ করলেও অনেকটাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শেষ করতে পেরেছেন প্রার্থীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারীর পাশাপাশি আগামীকাল রবিবার শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি।

এই বারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন প্রার্থী যথাক্রমে সরকার দলের প্রার্থী নৌকা হিসাবে প্রতীকে এড. তোফাইল বিন হোছাইন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীকে সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নির্বাচনে তার মধ্যে দ্বিমুখী তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।

অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিনটি ওয়ার্ডে ১০জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জনসহ দুই পদে সর্বমোট ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোট গ্রহণের দিন ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র‌্যাব, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের মোবাইল ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, পৌরসভায় টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের প্রশাসনিক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রস্তুত রয়েছে। এতে সাধারণ ভোটাররা একেবারে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারবেন। কারো মাঝে কোনো ধরনের শঙ্কা যাতে বিরাজ না করে সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল আলম জানান, ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রের ৮৭টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ২৬ হাজার ৯৮০ জন নারী-পুরুষ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন পৌর পরিষদ নির্বাচন করবেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।