ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

বর্ষায় শিশুর ত্বক

বৃষ্টির দিনে গোসল করা তো দূরের কথা, মাঝেমধ্যে শিশুরা হাত-মুখও ধুতে চায় না। আবার স্কুলে বা খেলার মাঠে হঠাৎ বৃষ্টি এলে তাতে প্রাণভরে ভিজতেও তাদের জুড়ি নেই। নানা কারণে বর্ষাকালে শিশুদের ত্বকে ঘা ও চুলকানি দেখা দেয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি বলে প্রকৃতিতে ছত্রাকসহ নানা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঘটে বেশি। বর্ষাকালে তাই শিশুদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া চাই।

* বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। পা দুটো নোংরা পানির সংস্পর্শে আসে বেশি, তাই বাড়ি ফিরে পা ধোয়া ও তারপর তা ভালো করে মুছে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাচ্চারা ঘামেও বেশি। ঘামে ভেজা স্কুলের জামাকাপড় রোজ ধুয়ে দিলে ভালো। গেঞ্জি, মোজা ও অন্তর্বাস রোজ ধুয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অন্য কাপড়ের চেয়ে মোজা শুকাতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োয় অনেক শিশু হালকা ভেজা মোজাই পায়ে গলিয়ে নেয়। এতে পায়ের ত্বকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

* বর্ষায় পা ছাড়াও আঙুলের ভাঁজে, বগলের নিচে, কুঁচকি ও চুলের ফাঁকে ঘাম জমে বলে এসব স্থানে সংক্রমণ হয়। তাই গোসলের সময় এসব স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সব সময় শুকনো রাখতে হবে।

* এই সময় ছোট শিশুদের ডায়াপার থেকে ত্বকের সমস্যা বেশি হয়। বর্ষায় শিশুদের প্রস্রাব বেশি হয়। এই প্রস্রাব জমে ডায়াপারের নিচের ত্বকে ঘা সৃষ্টি হয়। বর্ষায় ডায়াপার পরালে বারবার দেখা উচিত সেটি বেশি ভিজে গেছে কি না। ডায়াপার ব্যবহারের আগে ভ্যাসলিন বা জিঙ্ক-জাতীয় ক্রিম লাগালে ত্বকের সমস্যা অনেকটা কমবে।

* স্ক্যাবিস নামে একধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এই সময় বেশি হতে পারে। ঘরে বা স্কুলে একজন কারও হলে সবার মাঝে তা দ্রুত ছড়ায়। যাঁরা শিশুর পরিচর্যা করেন, তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। স্ক্যাবিস হলে বাড়ির সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

বর্ষায় শিশুর ত্বক

আপডেট টাইম ০৫:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮

বৃষ্টির দিনে গোসল করা তো দূরের কথা, মাঝেমধ্যে শিশুরা হাত-মুখও ধুতে চায় না। আবার স্কুলে বা খেলার মাঠে হঠাৎ বৃষ্টি এলে তাতে প্রাণভরে ভিজতেও তাদের জুড়ি নেই। নানা কারণে বর্ষাকালে শিশুদের ত্বকে ঘা ও চুলকানি দেখা দেয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি বলে প্রকৃতিতে ছত্রাকসহ নানা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঘটে বেশি। বর্ষাকালে তাই শিশুদের দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া চাই।

* বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অবশ্যই বাড়ি ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে গোসল করাতে হবে। পা দুটো নোংরা পানির সংস্পর্শে আসে বেশি, তাই বাড়ি ফিরে পা ধোয়া ও তারপর তা ভালো করে মুছে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাচ্চারা ঘামেও বেশি। ঘামে ভেজা স্কুলের জামাকাপড় রোজ ধুয়ে দিলে ভালো। গেঞ্জি, মোজা ও অন্তর্বাস রোজ ধুয়ে দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অন্য কাপড়ের চেয়ে মোজা শুকাতে একটু বেশি সময় লাগে। তাই স্কুলে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োয় অনেক শিশু হালকা ভেজা মোজাই পায়ে গলিয়ে নেয়। এতে পায়ের ত্বকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

* বর্ষায় পা ছাড়াও আঙুলের ভাঁজে, বগলের নিচে, কুঁচকি ও চুলের ফাঁকে ঘাম জমে বলে এসব স্থানে সংক্রমণ হয়। তাই গোসলের সময় এসব স্থান ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সব সময় শুকনো রাখতে হবে।

* এই সময় ছোট শিশুদের ডায়াপার থেকে ত্বকের সমস্যা বেশি হয়। বর্ষায় শিশুদের প্রস্রাব বেশি হয়। এই প্রস্রাব জমে ডায়াপারের নিচের ত্বকে ঘা সৃষ্টি হয়। বর্ষায় ডায়াপার পরালে বারবার দেখা উচিত সেটি বেশি ভিজে গেছে কি না। ডায়াপার ব্যবহারের আগে ভ্যাসলিন বা জিঙ্ক-জাতীয় ক্রিম লাগালে ত্বকের সমস্যা অনেকটা কমবে।

* স্ক্যাবিস নামে একধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এই সময় বেশি হতে পারে। ঘরে বা স্কুলে একজন কারও হলে সবার মাঝে তা দ্রুত ছড়ায়। যাঁরা শিশুর পরিচর্যা করেন, তাঁদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। স্ক্যাবিস হলে বাড়ির সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।