ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাসুদ হাসান রিদম :   বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে পুরো দেশকে মাদকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ নিয়ে এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি। তরুণরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকে সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বর্তমান সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত সামনে যা হচ্ছে সেগুলিকে নিয়ে কাজ করছি। যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্যে মাদক বন্ধ্যে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা কারণকে সামনে রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একযোগে কাজ করবে। এনপিএস নামে নতুন মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। মাদক পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তৎপর রয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকরের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো মাদক ঠেকাতেও সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের বেশি এমফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আর গডফাদারদের জন্য মানি-লন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যেকোনো নতুন মাদক আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৩:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮
মাসুদ হাসান রিদম :   বর্তমান সরকার মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে পুরো দেশকে মাদকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ নিয়ে এক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি। তরুণরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকে সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বর্তমান সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত সামনে যা হচ্ছে সেগুলিকে নিয়ে কাজ করছি। যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্যে মাদক বন্ধ্যে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা কারণকে সামনে রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একযোগে কাজ করবে। এনপিএস নামে নতুন মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। মাদক পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তৎপর রয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকরের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো মাদক ঠেকাতেও সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের বেশি এমফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আর গডফাদারদের জন্য মানি-লন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যেকোনো নতুন মাদক আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।