প্রতিনিধি :মোঃজামাল খান।জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর।
বরগুনা আমতলী পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুপাই দাস (৭০)। তিনি আর্থিক ভাবে অসচ্ছল।
আমতলী সিনেমা হল সংলগ্ন ছোট্ট একটা চায়ের দোকান চালিয়ে জীবনপাত করেন তিনি। দিন এনে দিন খেয়ে কোন রকমে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত তিন মাস ধরে তার একমাত্র আয়ের উৎস ছোট্ট চায়ের দোকানটিও বন্ধো।
পাঁচ সদস্যের পরিবারে মেয়ে দু’টি মানুষের আর্থিক সহায়তা নিয়ে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর ছোট ছেলে অন্যের দোকানে কাজ করেন।
বিগত ২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর মাথাগোঁজার শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নিয়েছে। আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি পুনরায় ঘরটি তুলতে পারিনি। সেই থেকে ঘর বিহীন অবস্থায় হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই করে বেঁচে আছে হতদরিদ্র রুপাইয়ের পরিবার।
বাপ-ছেলে অতি কষ্টে সংসার চালায়। বাড়িতে নেই কোন আসবাবপত্র। নেই কোন শখের জিনিস। শুধু হাড়ি-পাতিল ও থালা-বাসন নিয়েই তাদের সংসার।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৬ লাখ ৮ হাজার গৃহহীনকে বাড়ি নির্মাণ করে দেবে সরকার এ কথা শোনার পরে আশায় বুক বেঁধেছে এ অসহায় পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানান, খুবই অসহায় অবস্থায় দিন যাচ্ছে এ পরিবারের। মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই তাঁদের। সংসার কোন মতে চলে। এ পরিবারের দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।
রুপাই দাস বলেন,বাবু মুই আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ার কারণে এবং ঘরটির দীর্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে থাকার কারনে মোর আশেপাশের লোকজন উক্ত ঘরের দখল নিয়া মোরে উচ্ছেদ করতে চায়।
বরগুনা জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে মোর আবেদন যাহাতে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত একটা ঘর মুই পাইতে পারি এবং মোর জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি।
আমতলী সমাজকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারের উচিত এমন অসহায় পরিবারকে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে দেয়া।
এছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের উচিত অসহায় ও মানবতার পাশে দাঁড়ানো।
Attachments area