ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

বয়স হয়েছে, ভেবেছিলাম আমাকে ছুটি দেবেন: শেখ হাসিনা

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলে টানা নবমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, আমি চাচ্ছিলাম, আমাকে একটু ছুটি দেবেন। আপনাদের ভাবতে হবে আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স এখন ৭৩। এবারও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিনে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুন: আ.লীগের নতুন কমিটিতে কে আছেন কোন পদে

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে মা-বাবা-ভাই-বোন সব হারিয়েছি। আপনজন যাদেরকে রেখে গিয়েছিলাম তারা আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগকে আমার পরিবার হিসেবে নিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভালোবাসাই ছিল আমার চলার শক্তি। তিনি বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আমি পরিবার হিসেবেই নিয়েছিলাম। আর আওয়ামী লীগের যে অগণিত নেতাকর্মী, তাদের স্নেহ-ভালোবাসাই আমার চলার পথে শক্তি। অর্থ-সম্পদ কোনোকিছু নয়, আমার একটিমাত্রই শক্তি, সেটা হলো আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, আমি কোনো পদে থাকি বা না থাকি, আওয়ামী লীগেই আছি, আওয়ামী লীগেই থাকব। এটাই আমার পরিবার। পঁচাত্তরে মা-বাবা-ভাই সব হারিয়েছি। যেদিন বাংলাদেশে ফিরেছিলাম, সেদিনই দেখেছি, আমি একটি বিশাল পরিবার পেয়েছি। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে এই সংগঠনটিকেই গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি যোকোনো মূল্যে।

শেখ হাসিনা বলেন, তবে আপনাদের সামনের কথাও ভাবতে হবে। কারণ আমারও বয়স হয়ে গেছে। আমার কিন্তু ৭৩ বছর বয়স। এটা ভুলে গেলে চলবে না। কাজেই আস্তে আস্তে সংগঠন নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আগামীতে নতুন নেতাও আপনাদের নির্বাচন করতে হবে। এখানে আপনারা দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচন পর্ষদ (কমিশন) তারা আপনাদের কাছে মতামত চেয়ে আমাকে সভাপতি পদে আবার নির্বাচন করেছেন এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দনও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং ছাত্রলীগ সংগঠন থেকেই যাত্রা শুরু সকলের। আমি মনে করি, যে গুরুদায়িত্ব আপনারা দিয়েছেন, এই দায়িত্ব যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি তার জন্য সবার দোয়া চাই, সমর্থন চাই। আর আপনারা নিজ নিজ সংগঠন গড়ে তুলবেন।

কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব চাওয়া হয়। তবে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও নাম প্রস্তাব করেননি কাউন্সিলররা। এর জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।

কাউন্সিলরদের প্রতি সংগঠন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। এখানে আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কাউন্সিল থেকেই আমাদের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড— এই দুইটি বোর্ড গঠন করে নিয়ে যেতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের অনুমোদন চাচ্ছি। এসময় উপস্থিত কাউন্সিলররা সবাই হাত উঠিয়ে সম্মতি জানান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

বয়স হয়েছে, ভেবেছিলাম আমাকে ছুটি দেবেন: শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম ০৯:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলে টানা নবমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, আমি চাচ্ছিলাম, আমাকে একটু ছুটি দেবেন। আপনাদের ভাবতে হবে আমার বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স এখন ৭৩। এবারও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিনে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুন: আ.লীগের নতুন কমিটিতে কে আছেন কোন পদে

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে মা-বাবা-ভাই-বোন সব হারিয়েছি। আপনজন যাদেরকে রেখে গিয়েছিলাম তারা আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগকে আমার পরিবার হিসেবে নিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভালোবাসাই ছিল আমার চলার শক্তি। তিনি বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আমি পরিবার হিসেবেই নিয়েছিলাম। আর আওয়ামী লীগের যে অগণিত নেতাকর্মী, তাদের স্নেহ-ভালোবাসাই আমার চলার পথে শক্তি। অর্থ-সম্পদ কোনোকিছু নয়, আমার একটিমাত্রই শক্তি, সেটা হলো আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী।

তিনি বলেন, আমি কোনো পদে থাকি বা না থাকি, আওয়ামী লীগেই আছি, আওয়ামী লীগেই থাকব। এটাই আমার পরিবার। পঁচাত্তরে মা-বাবা-ভাই সব হারিয়েছি। যেদিন বাংলাদেশে ফিরেছিলাম, সেদিনই দেখেছি, আমি একটি বিশাল পরিবার পেয়েছি। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে এই সংগঠনটিকেই গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি যোকোনো মূল্যে।

শেখ হাসিনা বলেন, তবে আপনাদের সামনের কথাও ভাবতে হবে। কারণ আমারও বয়স হয়ে গেছে। আমার কিন্তু ৭৩ বছর বয়স। এটা ভুলে গেলে চলবে না। কাজেই আস্তে আস্তে সংগঠন নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আগামীতে নতুন নেতাও আপনাদের নির্বাচন করতে হবে। এখানে আপনারা দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচন পর্ষদ (কমিশন) তারা আপনাদের কাছে মতামত চেয়ে আমাকে সভাপতি পদে আবার নির্বাচন করেছেন এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দনও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করছি এবং ছাত্রলীগ সংগঠন থেকেই যাত্রা শুরু সকলের। আমি মনে করি, যে গুরুদায়িত্ব আপনারা দিয়েছেন, এই দায়িত্ব যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি তার জন্য সবার দোয়া চাই, সমর্থন চাই। আর আপনারা নিজ নিজ সংগঠন গড়ে তুলবেন।

কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব চাওয়া হয়। তবে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও নাম প্রস্তাব করেননি কাউন্সিলররা। এর জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।

কাউন্সিলরদের প্রতি সংগঠন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। এখানে আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কাউন্সিল থেকেই আমাদের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড— এই দুইটি বোর্ড গঠন করে নিয়ে যেতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের অনুমোদন চাচ্ছি। এসময় উপস্থিত কাউন্সিলররা সবাই হাত উঠিয়ে সম্মতি জানান।