মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’ ক্রমে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তবে এর কেন্দ্র এখনো বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থান করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পিথাই’ আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৯৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৪০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। যা আরও উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।