ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ব্যয় বাড়ছে ৭০৪৬ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাইকা নতুন করে প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখেছে, ব্যয় বাড়বে। এ কারণেই ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।

রেলসেতু নির্মাণে যে ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ‌্যে ৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।

২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। তখন জাইকার ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। এর মধ‌্যে রয়েছে— নির্মাণকাজের ব‌্যয় বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ও অন্যান্য ফ্যাসিলিটিজ ভাড়া, জাদুঘর ও পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, ব্যাংক চার্জ বৃদ্ধি। এছাড়া, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনেকেশন ওয়ার্কস ও প্যাকেজ-৩ এর কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জাইকাকে জানানো হয়েছে। এর ফলেই বাড়তি ঋণ দেবে জাইকা।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ‌্যে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এর অগ্রগতি মাত্র ৯ শতাংশ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যমুনায় রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত হবে রেলসেতুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) স্টেশন ও বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্ট (বিবিডব্লিউ) স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারবেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগন্যালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইনও থাকবে।

সেতুটি হলে তা বাংলাদেশের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে মনে করছে সরকার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ব্যয় বাড়ছে ৭০৪৬ কোটি টাকা

আপডেট টাইম ০৫:২১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জাইকা নতুন করে প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখেছে, ব্যয় বাড়বে। এ কারণেই ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।

রেলসেতু নির্মাণে যে ৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মধ‌্যে ৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।

২০১৬ সালে প্রকল্পটি যখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়, তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। তখন জাইকার ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। এর মধ‌্যে রয়েছে— নির্মাণকাজের ব‌্যয় বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ও অন্যান্য ফ্যাসিলিটিজ ভাড়া, জাদুঘর ও পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, ব্যাংক চার্জ বৃদ্ধি। এছাড়া, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনেকেশন ওয়ার্কস ও প্যাকেজ-৩ এর কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জাইকাকে জানানো হয়েছে। এর ফলেই বাড়তি ঋণ দেবে জাইকা।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ‌্যে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এর অগ্রগতি মাত্র ৯ শতাংশ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যমুনায় রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত হবে রেলসেতুটি। বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট (বিবিই) স্টেশন ও বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েস্ট (বিবিডব্লিউ) স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারবেজড ইন্টারলিংকিং (সিবিআই) সিগন্যালিং সিস্টেম থাকবে। সেতু বরাবর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইনও থাকবে।

সেতুটি হলে তা বাংলাদেশের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হবে বলে মনে করছে সরকার।