ভেড়ামারা উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ চমন গাজী

আসন্ন জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত আলী জুনিয়াদহ পান বাজারে তার নির্বাচনী পথসভায় বলেন যারা আওয়ামী লীগের ও নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয় তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। বুধবার সন্ধ্যায় কোরআন থেকে তেলাওয়াত মাধ্যমে পথসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন আওয়ামী লীগের নৌকার মান অক্ষুন্ন রাখতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে নৌকার বিকল্প নেই।তাই আগামী ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শওকত আলীর বিজয় সুনিশ্চিত করবেন।

পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম চুনু বলেন নৌকা উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক আর এই জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জয় এবং শওকত আলীর নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে বিগত নির্বাচনের মতোই পুনরায় শওকতকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমুল ইসলাম ছানা বলেন সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নৌকা মার্কা প্রতীকে শওকত আলী এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাই দলবল নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট আপনাদের অধিকার বাস্তবায়ন করবেন।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুনিয়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত আলী বলেন আমি ইউনিয়ন বাসীর ভাগ্য বদলের নিরলসভাবে কাজ যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এমন কর্ম কান্ড জুনিয়াদহ ইউনিয়ন বাসীর জন্য করব। তবে ইউনিয়ন বাসীকে মনে রাখতে হবে এই নির্বাচন একটি যুদ্ধ আর এই যুদ্ধে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। তাহলে আমার ইউনিয়ন বাসীর ভাগ্য বদল হবে তাই আগামী ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমার সাথে নৌকা মার্কার যুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করবেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সন্মানিত সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মানিক মিয়া , কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল মুকুল ও পৌর এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতানেত্রীরা সহ বিভিন্ন বয়সী নৌকার শোভাকাঙ্খীরা এবং সাধারণ মানুষের একাংশ উপস্থিতিতে পথসভা জনসভায় পরিণত হয়।