ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষা করা ছিল বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ছিলো জাতিরপিতার হত্যাকারীদের আইন করে রক্ষা করা। তিনি বলেন, অপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো হয়েছিলো প্রচ্ছন্ন মদদে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘মানবাধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুনঃ  ২০২০ সালে ফাইভ জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমরা হাতে নিয়েছি। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক, এ বিষয়ে আমাদের সরকার সোচ্চার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করি। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমাদের যে দলীয় ইশতেহার ছিল, সেই ইশতেহারেও আমরা মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার যে চলমান প্রক্রিয়া সেটা অব্যাহত রাখব, সেই অঙ্গিকার আমরা করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কমিশনের সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা সেটা আমলে নিই, যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, সে পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং সেটা নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার সংরক্ষণ বিভিন্ন কমিটিতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছায়া প্রতিবেদন প্রেরণ করে যাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছে। যেমন- কারাগার, হাসপাতাল, শিশু সদনসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছে। পরিদর্শন করে নিবাসীদের কল্যাণে সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করে। এবং আমরা তার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। তাদের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিই।

বঙ্গন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, কেউ পিছিয়ে থাকবে না। এ জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা পড়ে আছে, তাদেরকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক, এ বিষয়ে আমাদের সরকার সোচ্চার। আমরা সব সময় মনে করি, সরকার মানে জনগণের সেবক, জনগণের কাজ করে। সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমরা জাতিসংঘে তিনবার মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছি। কাজেই আমরা সব সময় মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যেমন- শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী, শ্রমিকশ্রেণির অধিকার সম্পর্কে আমরা সচেতন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করেছি এবং অনুসমর্থনও দিয়েছি। এবং এখানে বাস্তবায়নের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের যে কাজগুলো একান্ত প্রয়োজন, আমাদের মূল যে নীতিমালা ও উন্নয়ন প্রকল্প তার সবকিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করেই আমাদের পদক্ষেপগুলো নিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমার দৃষ্টিতে মানবাধিকার শুধু দৈহিক সুরক্ষা না। এর সঙ্গ সম্পর্কিত হচ্ছে- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার অধিকার, কর্মের অধিকার। যেটা জাতির পিতা আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বলে গেছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষকে মানুষ হিসেবে আমরা দেখব, কাউকে অবহেলা করব না। আমাদের দেশে হিজড়া, হরিজন, দলিত শ্রেণি বা আমাদের বেদে শ্রেণি এরকম বিভিন্ন শ্রেণি আছে; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে প্রত্যেকের অধিকার যাতে সুরক্ষিত হয় এবং সবাইকে ভাতার ব্যবস্থা, আর্থিক সুবিধা, বাসস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহীত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের আদর্শ ও দর্শন পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে বিস্তারিতভাবে শুধু সন্নিবেশিতই করা হয়নি বরং তা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষা করা ছিল বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন

আপডেট টাইম ০১:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ছিলো জাতিরপিতার হত্যাকারীদের আইন করে রক্ষা করা। তিনি বলেন, অপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানো হয়েছিলো প্রচ্ছন্ন মদদে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘মানবাধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুনঃ  ২০২০ সালে ফাইভ জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমরা হাতে নিয়েছি। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক, এ বিষয়ে আমাদের সরকার সোচ্চার।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করি। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আমাদের যে দলীয় ইশতেহার ছিল, সেই ইশতেহারেও আমরা মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করার যে চলমান প্রক্রিয়া সেটা অব্যাহত রাখব, সেই অঙ্গিকার আমরা করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কমিশনের সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা সেটা আমলে নিই, যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, সে পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং সেটা নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার সংরক্ষণ বিভিন্ন কমিটিতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ছায়া প্রতিবেদন প্রেরণ করে যাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছে। যেমন- কারাগার, হাসপাতাল, শিশু সদনসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছে। পরিদর্শন করে নিবাসীদের কল্যাণে সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করে। এবং আমরা তার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। তাদের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিই।

বঙ্গন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, কেউ পিছিয়ে থাকবে না। এ জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা পড়ে আছে, তাদেরকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক, এ বিষয়ে আমাদের সরকার সোচ্চার। আমরা সব সময় মনে করি, সরকার মানে জনগণের সেবক, জনগণের কাজ করে। সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর আমরা জাতিসংঘে তিনবার মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছি। কাজেই আমরা সব সময় মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যেমন- শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী, শ্রমিকশ্রেণির অধিকার সম্পর্কে আমরা সচেতন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করেছি এবং অনুসমর্থনও দিয়েছি। এবং এখানে বাস্তবায়নের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের যে কাজগুলো একান্ত প্রয়োজন, আমাদের মূল যে নীতিমালা ও উন্নয়ন প্রকল্প তার সবকিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত করেই আমাদের পদক্ষেপগুলো নিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমার দৃষ্টিতে মানবাধিকার শুধু দৈহিক সুরক্ষা না। এর সঙ্গ সম্পর্কিত হচ্ছে- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার অধিকার, কর্মের অধিকার। যেটা জাতির পিতা আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বলে গেছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষকে মানুষ হিসেবে আমরা দেখব, কাউকে অবহেলা করব না। আমাদের দেশে হিজড়া, হরিজন, দলিত শ্রেণি বা আমাদের বেদে শ্রেণি এরকম বিভিন্ন শ্রেণি আছে; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে প্রত্যেকের অধিকার যাতে সুরক্ষিত হয় এবং সবাইকে ভাতার ব্যবস্থা, আর্থিক সুবিধা, বাসস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহীত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের আদর্শ ও দর্শন পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে বিস্তারিতভাবে শুধু সন্নিবেশিতই করা হয়নি বরং তা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে।