এফ.এ.মানিক (ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি)
ফরিদগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে মারধর করেছেন মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল(৫০)। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের পর ভুক্তেভোগীদের বিরুদ্ধে থানায় আগাম অভিযোগ করেছেন দুলাল। তিনি নিজেকে ডিএমপি’র অধিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত আছেন বলে দাবী করেন।
ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুলালের ভাই জাহাঙ্গীরের মেয়ের বিয়েতে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদকে দাওয়াত দেওয়া হয়। দাওয়াতে অংশ নিতে গেলে দুলাল তার বাড়ির সম্মুখে বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমামকে বেদম মারধর করে আহত করেন। মারধরের কারণ জানতে মসজিদের বেশ কিছু মুসল্লী দুলালের বাড়ির সামনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের অতর্কিত হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ, মাওলানা আবু জাফর (৫৫), গোলাম কিবরিয়া, শাহাদাৎ হোসেন, নেছার পাঠানসহ বেশ কয়েকজন মুসল্লী আহত হন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক বলেন, দুলাল এবং তার ভাইয়েরা বরাবরই উগ্র। দুলাল নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে শাসিয়ে বেড়ায়। তার ভাই আলমগীর মার্শাল কোর্টে শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন জানা যায়। তিনি ও নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোক বলে জাহির করে বেড়ান। শুক্রবার তারা মারামারি করে তারাই আবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে জানতে গেলে দুলালের ভাই জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করে বলেন, আপনারা আমাদের কোন বিষয়ে ভিডিও করতে পারবেনা। আপনারা এই খান থেকে বের হয়ে যান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টা এবং চাঁদাবাজির অপবাদ দেন। দুলালের অপর ভাই আলমগীর নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে থাকেন বলে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে ইমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি জাহাঙ্গীরের মেয়ের বিবাহ পড়ানোর জন্য গিয়েছিলাম। সেই খানে তার ভাই দুলালের সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে সে আমাকে মারধর শুরু করে। আমি বিষয়টি মসজিদের মুসল্লিদের অবগত করি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কাজী মো. শাহ্ আলম বলেন, আমি নিকাহ রেজি: করতে গিয়েছি,মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়সের বিধায় নিকাহ্ রেজি: না করেই চলে এসেছি। মেয়ের জন্ম তারিখ আমার দেখা মতে ২০০৪ সালে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন,এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।