ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায় মিছিল ও শোডাউন করায় মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মানিক দর্জিকে শোকজ –গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে ডাক্তার কর্তৃক মেয়াদোত্তীর্ণ বিক্রিত ঔষধ খেয়ে রোগীর বেহাল অবস্থা

মোঃ আল আমিন হোসেন

ফরিদগঞ্জ থানার লতিফগঞ্জ বাজারের ডাক্তার গোপালের বিক্রিত মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খেয়ে আনোয়ারা বেগম নামে (৪২) এর বেহাল অবস্থা।
২৪ ডিসেম্বর শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে রোগী জানান,গত বুধবারে আমি শরীরে জ্বর, মাথা ব্যাথা ও পেট ব্যাথা অনুভব করায় গোপাল ডাক্তারের শরণাপন্ন হই,তখনই ডাক্তার গোপাল দোকানে আমাকে এক্সিয়াম ২০ সহ অন্যান্য ঔষধ সেবন করায় কিন্তু এক্সিয়াম ২০ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়,যার ফলে আমি দোকানেই আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিন্তু ডাক্তার গোপাল ঔষধ যাচাই বা পরিবর্তন না করে আমাকে বাড়িতে সেবনের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ এক্সিয়াম ২০ আরো ছয় পাতা ঔষধ দিয়ে দেয়।
দুইদিন এ ঔষধ সেবনে আমার পেট ফুলে যায়,মাথা ব্যাথা ও পেটব্যথা বৃদ্ধি সহ শরীরে অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দেয়।
এমতাবস্থায় আমি কালক্ষেপ না করে ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ডাঃ মোঃ সাদেকুর রহমানের কাছে যাই।
তিনি আমার রোগ নির্ণয়ের জন্য পরিক্ষা-নীরিক্ষার পর পূর্বে কি ঔষধ সেবন করেছি তা দেখে বলেন আপনি পূর্বে যে ঔষধ সেবন করেছেন তার মেয়াদ আরো ৮ মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে যা সেবনের কারনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আপনার এ অবস্থা।
তিনি আরও বলেন,আমি আমার এলাকার কর্তব্যরত ইউপি সদস্য, বাজার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে নালিশ করেছি এবং প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্থানীয় ৭ নং ইউপি সদস্য মোহন পাটওয়ারী মানিক,বাজার সভাপতি বোরহান উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মহসিন মোল্লার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতার ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন ও সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ গোপালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঔষধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক,আমাদের দায়িত্ব দেখে দেওয়া কিন্তু আমি দেখে দেইনি,আমার ভুল হয়েছে বর্তমানেতাে সরকারি হাসপাতেলে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভুল হয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মহিলার পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে আসার পরে আমি তাদের কাছে ভুল হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছি।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন,মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দোকান বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে রাখা ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। এই ধরনের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিবেদককে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করে ওই গ্রাম্য ডাক্তার গোপালের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

“মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন”

ফরিদগঞ্জে ডাক্তার কর্তৃক মেয়াদোত্তীর্ণ বিক্রিত ঔষধ খেয়ে রোগীর বেহাল অবস্থা

আপডেট টাইম ০৬:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

মোঃ আল আমিন হোসেন

ফরিদগঞ্জ থানার লতিফগঞ্জ বাজারের ডাক্তার গোপালের বিক্রিত মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খেয়ে আনোয়ারা বেগম নামে (৪২) এর বেহাল অবস্থা।
২৪ ডিসেম্বর শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে রোগী জানান,গত বুধবারে আমি শরীরে জ্বর, মাথা ব্যাথা ও পেট ব্যাথা অনুভব করায় গোপাল ডাক্তারের শরণাপন্ন হই,তখনই ডাক্তার গোপাল দোকানে আমাকে এক্সিয়াম ২০ সহ অন্যান্য ঔষধ সেবন করায় কিন্তু এক্সিয়াম ২০ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়,যার ফলে আমি দোকানেই আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি। কিন্তু ডাক্তার গোপাল ঔষধ যাচাই বা পরিবর্তন না করে আমাকে বাড়িতে সেবনের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ এক্সিয়াম ২০ আরো ছয় পাতা ঔষধ দিয়ে দেয়।
দুইদিন এ ঔষধ সেবনে আমার পেট ফুলে যায়,মাথা ব্যাথা ও পেটব্যথা বৃদ্ধি সহ শরীরে অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দেয়।
এমতাবস্থায় আমি কালক্ষেপ না করে ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ডাঃ মোঃ সাদেকুর রহমানের কাছে যাই।
তিনি আমার রোগ নির্ণয়ের জন্য পরিক্ষা-নীরিক্ষার পর পূর্বে কি ঔষধ সেবন করেছি তা দেখে বলেন আপনি পূর্বে যে ঔষধ সেবন করেছেন তার মেয়াদ আরো ৮ মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে যা সেবনের কারনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আপনার এ অবস্থা।
তিনি আরও বলেন,আমি আমার এলাকার কর্তব্যরত ইউপি সদস্য, বাজার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে নালিশ করেছি এবং প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্থানীয় ৭ নং ইউপি সদস্য মোহন পাটওয়ারী মানিক,বাজার সভাপতি বোরহান উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মহসিন মোল্লার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতার ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন ও সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ গোপালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঔষধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক,আমাদের দায়িত্ব দেখে দেওয়া কিন্তু আমি দেখে দেইনি,আমার ভুল হয়েছে বর্তমানেতাে সরকারি হাসপাতেলে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভুল হয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মহিলার পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে আসার পরে আমি তাদের কাছে ভুল হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছি।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন,মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দোকান বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে রাখা ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। এই ধরনের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিবেদককে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করে ওই গ্রাম্য ডাক্তার গোপালের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।