মোঃ আল আমিন হোসেন।
নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি (স্যাকমো) মোঃ হেলাল উদ্দিন শিশু, মেডিসিন, গাইনি,চর্ম-যৌন ও বাত ব্যাথা রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কামতা বাজারের রওশান আরা মেডিকেল হলে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ প্রতারণা করে চিকিৎসার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) ঘটনা স্থলে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, এ কথিত ডাঃ হেলাল উদ্দিন, রওশান আরা মেডিকেল হলের মালিক খায়রুলের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অঞ্চলের মানুষের সরলতাকে পূজি করে স্থানীয় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে আসছেন।
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, এম বি বি এস এবং বিএমডিসির নিবন্ধন প্রাপ্ত নাহয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, আমি গত এক মাসহয় হাতিয়া স্বাস্থ কমপ্লেক্স থেকে অবসর নিয়েছি।
ইতিপূর্বে হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগে তাকে আমরা সতর্ক করেছি এবং এই মর্মে অঙ্গিকার নিয়েছি যে ভবিষ্যতে সে এধরনের কর্মকান্ডে আর লিপ্ত হবেনা, কিন্তু সে আবার এগুলোতে লিপ্ত হয়েছে!
বর্তমান হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খাদিজা রহমান জানান, আজকে আমি হেলাল উদ্দিনের খোঁজ করে ব্যার্থ হয়েছি, সত্যতা প্রমান পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি আমার কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চলছি। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ আমাকে ডাক্তার হিসেবে মেনে নিয়েছে। তাই আমি ডাক্তার।