মোঃ আল আমিন হোসেন
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলার শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ, মাদরাসা কিংবা দ্বীনদরদী মুসলিম ভাইদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন- বেশ পরিচিত একটি চিত্র। এমন দৃশ্য বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম দেশে সাধারণত দেখা যায় না।
আয়োজিত এসব ওয়াজ মাহফিলে প্রাজ্ঞ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও বুজুর্গরা সাধারণ মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ সব ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং সারারাত জেগে, গভীর আগ্রহ সহকারে কোরআন-হাদিসের আলোচনা শোনেন।
মানুষের ধর্ম সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থেকেই প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে এসব মাহফিলে অংশ নিয়ে থাকেন। আর ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে জানানো আলেম-উলামাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘(আমার ইন্তেকালের পর) লোকেরা তোমাদের অনুসারী হবে। বিভিন্ন দিক হতে তারা তোমাদের নিকট দ্বীনি জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে আগমন করবে। অতএব, তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে তখন তোমরা তাদেরকে সদুপদেশ দেবে। ’ -তিরমিজি/ ২৬৫০।
২৫ ডিসেম্বর রবিবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ভাটের হদ মাইজভাণ্ডারী দায়রা শরীফ প্রাঙ্গণে ভাটের হদ মাইজভান্ডারি এসোসিয়েশনের আয়োজনে, আমীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় ১২৬ বাৎসরিক পবিত্র ঔরস ও মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
দায়িত্বরত জুয়েল হোসেন জানান, অনুষ্ঠানে মাহফিলের আয়োজকগন নিজ অর্থায়নে আমন্ত্রিত ওয়ায়েজ ও শ্রোতাদের জন্য শীতের তীব্রতা ও দীর্ঘ ক্লান্তি মুছনের লক্ষ্যে প্রতি বছরেই নেয় এবারো করেছেন পরিচ্ছন্ন পরিপাটি মাহফিলের প্যান্ডেল ও রুচিসম্মত খাবারের ব্যাবস্থা।