ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

প্রধানমন্ত্রীর মাণবিক সহায়তা ২৫০০ টাকার তালিকায় অনিয়ম:চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

মহিনুল ইসলাম সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শতাধিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সোমবার(১৫ জুন) দুপুরে ইউনিয়নের মাগুড়া চেকপোস্ট বাজারে রংপুর-জলঢাকা সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার ২ হাজার ৫ শত টাকা প্রদানের তালিকা তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। প্রকৃত দরিদ্রদের বঞ্চিত করে সম্পদ শালীদের ও বিত্তবেনদের ওই সুবিধা প্রদানে তালিকা দাখিল করেন। তালিকায় পাকা বাড়ি, ১৫ থেকে ২০ বিঘা কৃষি জমির মালিক, স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয়।

তারা তালিকা সংগ্রহ করে মানববন্ধনে দেখিয়ে বলেন, তালিকার ২৫০ নম্বরে ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাইয়ের রয়েছে ২০ বিঘা কৃষি জমি ও পাকা বাড়ি। বাড়ির এলাকাটিও দেড় বিঘা জমির ওপর। তিনি এবারে আট বিঘা জমিতে ভুট্টা ও আট বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। রয়েছে হলুদ ও আদার আবাদ। ওই কৃষকের নামে রয়েছে খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড। তালিকায় ২৬৬ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওই কৃষকের ছোটভাই আব্দুল মতিনের নাম। তারও রয়েছে পাকা বাড়িসহ সম পরিমান কৃষি জমি। ওই দুই ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। একইভাবে ২৭০ নম্বরে সরকারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামও ২৬৭ নম্বরের শরিফুল ইসলামের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। তারা এসব অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে।

ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের সিদ্দিকা বেগম (৫৬) বলেন,“মুই গরিব মানষি হোয়াও এইলা দূর্দিনোত চেয়্যারম্যানের কাছোত কোন সুবিধা পানুনা। সরকারের সুবিধা দেছে জমিওলা মানষিলাক। একই কথা বলেন মাগুড়া হাজীপাড়া গ্রামের মহসেনা বেগমসহ (৬০) সেখানে উপস্থিত তাজুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, কলেজ শিক্ষক আখতারুজ্জামান মিঠু প্রমুখ অনেক সুবিধা বঞ্চিতরা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটি কুচক্রী মহল কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য এধরণের অভিযোগ তুলছেন।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

প্রধানমন্ত্রীর মাণবিক সহায়তা ২৫০০ টাকার তালিকায় অনিয়ম:চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

আপডেট টাইম ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

মহিনুল ইসলাম সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শতাধিক বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। সোমবার(১৫ জুন) দুপুরে ইউনিয়নের মাগুড়া চেকপোস্ট বাজারে রংপুর-জলঢাকা সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার ২ হাজার ৫ শত টাকা প্রদানের তালিকা তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। প্রকৃত দরিদ্রদের বঞ্চিত করে সম্পদ শালীদের ও বিত্তবেনদের ওই সুবিধা প্রদানে তালিকা দাখিল করেন। তালিকায় পাকা বাড়ি, ১৫ থেকে ২০ বিঘা কৃষি জমির মালিক, স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয়।

তারা তালিকা সংগ্রহ করে মানববন্ধনে দেখিয়ে বলেন, তালিকার ২৫০ নম্বরে ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাইয়ের রয়েছে ২০ বিঘা কৃষি জমি ও পাকা বাড়ি। বাড়ির এলাকাটিও দেড় বিঘা জমির ওপর। তিনি এবারে আট বিঘা জমিতে ভুট্টা ও আট বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। রয়েছে হলুদ ও আদার আবাদ। ওই কৃষকের নামে রয়েছে খাদ্য বান্ধন কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড। তালিকায় ২৬৬ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওই কৃষকের ছোটভাই আব্দুল মতিনের নাম। তারও রয়েছে পাকা বাড়িসহ সম পরিমান কৃষি জমি। ওই দুই ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্মীয়। একইভাবে ২৭০ নম্বরে সরকারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামও ২৬৭ নম্বরের শরিফুল ইসলামের আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও তালিকায় নাম উঠেছে তাদের। তারা এসব অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে।

ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের সিদ্দিকা বেগম (৫৬) বলেন,“মুই গরিব মানষি হোয়াও এইলা দূর্দিনোত চেয়্যারম্যানের কাছোত কোন সুবিধা পানুনা। সরকারের সুবিধা দেছে জমিওলা মানষিলাক। একই কথা বলেন মাগুড়া হাজীপাড়া গ্রামের মহসেনা বেগমসহ (৬০) সেখানে উপস্থিত তাজুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, কলেজ শিক্ষক আখতারুজ্জামান মিঠু প্রমুখ অনেক সুবিধা বঞ্চিতরা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাব মিঞার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটি কুচক্রী মহল কর্মসূচিকে ব্যাহত করার জন্য এধরণের অভিযোগ তুলছেন।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।