ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রতি উপজেলায় প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র চালু হবে: প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা চালু রয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু ১০ জানুয়ারি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। দখলে থাকা সরকারি জমি দখলমুক্ত করে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজে লাগানোরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটা সচেতনতা সৃষ্টি- এটা আমাদের সরকার প্রতিবছরই করে থাকি এবং অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে এ দিবস আমরা পালন করি।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন (সিআরপিডি)’ চুক্তিতে বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে, আমি সাক্ষর করেছি এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন মূলনীতি ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ অর্থাৎ কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। এ অনুযায়ী আমরা দেশের সব প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৯ সালে আমরা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ফাউন্ডেশন থাকলে সুবিধা হলো, এখানে বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অনেকে অনুদান দেয়, অনেকে বিভিন্ন অবদান রাখে, আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করে। এছাড়াও অনেক ধরনের সুযোগ এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের ফাউন্ডেশন আছে। এ জন্যই এ ফাউন্ডেশনটা আমি ওই সময় করে দিয়েছিলাম।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র বাংলাদেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনেক জায়গা দিয়ে গেছেন। যে জায়গাগুলোতে মূলত আরও বেশি প্রতিষ্ঠান আমরা গড়তে পারি। ইতিমধ্যে আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, কোন কোন জেলা- উপজেলায় আমাদের জমি আছে? কারণ বহু পতিত জমি আছে, বহু জমি দখল হয়ে গেছে- সেগুলো আমরা খুঁজে বের করছি।

তিনি বলেন, আমরা একেবারে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা এমনকি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা করব। সেটা আমাদের লক্ষ্য আছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রতি উপজেলায় প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র চালু হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৩:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা চালু রয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান।আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু ১০ জানুয়ারি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। দখলে থাকা সরকারি জমি দখলমুক্ত করে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজে লাগানোরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটা সচেতনতা সৃষ্টি- এটা আমাদের সরকার প্রতিবছরই করে থাকি এবং অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে এ দিবস আমরা পালন করি।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন (সিআরপিডি)’ চুক্তিতে বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে, আমি সাক্ষর করেছি এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন মূলনীতি ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ অর্থাৎ কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। এ অনুযায়ী আমরা দেশের সব প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৯ সালে আমরা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ফাউন্ডেশন থাকলে সুবিধা হলো, এখানে বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অনেকে অনুদান দেয়, অনেকে বিভিন্ন অবদান রাখে, আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করে। এছাড়াও অনেক ধরনের সুযোগ এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের ফাউন্ডেশন আছে। এ জন্যই এ ফাউন্ডেশনটা আমি ওই সময় করে দিয়েছিলাম।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র বাংলাদেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনেক জায়গা দিয়ে গেছেন। যে জায়গাগুলোতে মূলত আরও বেশি প্রতিষ্ঠান আমরা গড়তে পারি। ইতিমধ্যে আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, কোন কোন জেলা- উপজেলায় আমাদের জমি আছে? কারণ বহু পতিত জমি আছে, বহু জমি দখল হয়ে গেছে- সেগুলো আমরা খুঁজে বের করছি।

তিনি বলেন, আমরা একেবারে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা এমনকি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা করব। সেটা আমাদের লক্ষ্য আছে।