কাজী মুহাম্মদ হানিফ।।
‘আসছে বছর আবার হবে’ এ বার্তা দিয়ে মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরে যান দেবী দুর্গা। গতকাল শুভ বিজয়া দশমী। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের বার্তা নিয়ে মর্ত্যে এসেছিলেন দেবী। দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
পঞ্জিকামতে, গতকাল বেলা ১১টা ৪০ পর্যন্ত দশমী তিথি স্থায়ী হয়। এ সময়ের মধ্যে দশমী পূজা সম্পন্ন করেন পুরোহিতরা। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন করা হয়। উপবাস থেকে অঞ্জলি প্রদান করবেন ভক্তরা।
এ বছর দেবী গজ বা হাতিতে চড়ে মর্ত্যে আসেন। দেবী কৈলাসে ফিরেন নৌকায় করে। এর ফলে পৃথিবী শস্যে পূর্ণ হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
জানা যায় চাঁদপুরে এবছর ২১৯টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পর্ন হয়,
জেলা সদরসহ ৮টি উপজেলায় ২১৯ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে – চাঁদপুর সদরে ৩৬টি , হাজগঞ্জে ২৯ টি,কচুয়ায় ৪১টি, হাইমচরে ৬টি, শাহরাস্তি ১৮টি, ফরিদগঞ্জে ২০টি , মতলব দক্ষিণে ৩৮টি এবং মতলব উত্তরে ৩৮টি শারদীয় দুর্গাউৎসব উদযাপন হয়।
সন্ধ্যার পর পর মন্দির থেকে বের হবে মূল শোভাযাত্রা। পরে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হয় প্রতিমা বিসর্জন। বিভিন্ন মন্ডপ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য মূল শোভাযাত্রায় যুক্ত হবে।
এর আগে অশুভ বিনাশের প্রত্যয়ে মহানবমী তিথিতে দুর্গতিনাশিনী দেবীর আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
জেলার বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ভক্তরা দেবীর চরণে অর্পণ করেন পুষ্পাঞ্জলি।
সকল মন্দিরে বাদ্যের সঙ্গে চলে দেবীর আরতি। সর্বজনীন মন্দিরে পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত
পুলিশ প্রশাসন থেকে কঠোর নজরদারিতে ছিলো।