রুবেল আহমেদ, আখাউড়া (ব্রাক্ষণবাড়ীয়া): কথায় বলে, ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে।’ কিন্তু এবার মাঘের আগেই কাঁপন লেগেছে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আখাউড়া সহ সারাদেশে। পৌষ মাসেই তীব্র শীতের কামড়ে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মাঘের প্রথম কয়েক দিন শীত থাকলেও সচরাচর দ্বিতীয় পক্ষেই তা কমে আসে।
তাপমাত্রার মানদণ্ডে গত দু’দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতিকে ‘মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’ বলতে হবে। তবে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে শীতের অনুভূতি ছিল আরও বেশি। জানুয়ারির স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে গত দু’দিনের তাপমাত্রা। সঙ্গে ছিল উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের অস্বাভাবিক গতিবেগ।
সূর্যের আলো না থাকায় আজ সোমবার আখাউড়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ে। সঙ্গে যোগ হয় উত্তরের হিমেল হাওয়া।
বাতাস ছুটে এলেই তীব্র হয় শীতের অনুভূতি।
গতকাল রবিবার সূর্য দেখা গেলেও সেভাবে কিরণ ছড়াতে পারেনি। দিনের বেলায় ঘন কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। গতকালও আখাউড়ায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা আজ সোমবার সকালে নেমে আসে ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
অনেকেরই ধারণা, মাঘই হলো শীতের আসল মাস। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, মাঘ মাসের প্রথম কয়েকদিন পর্যন্ত শীত থাকে। গ্রামাঞ্চলে এখন অনেক পাকা বাড়িঘর নির্মাণ হয়েছে। ফলে শীতের মাত্রা আগের মতো থাকলেও অনেক সময় অনুভূতিটা তত তীব্র হয় না। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে দিনেই নেমে আসে আঁধার। এর প্রভাব পড়ে জনজীবনে।
পৌষের শেষ মুহূর্তে নেমে আসা পারদে জনজীবনে নেমে এসেছে অচলাবস্থা।আখাউড়ায় বিভিন্ন সড়কে ও রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ছিন্নমূল মানুষকে দিনের বেলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। মহাসড়কে দিনে যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তীব্র ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে।
আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাকিলা আক্তার বলেন, সকালে বাসার বাইরে পা রাখতেই পুরো শরীর হিম হয়ে আসে। অনেক শিক্ষার্থী বাসা ছেড়ে বের হচ্ছেন না। কলেজে উপস্থিতি নেমে এসেছে ১০ ভাগের নিচে।
এদিকে পৌষ মাস শেষ হতে আরও দুই দিন বাকি। মাসের শেষ দু’টি দিনেও পরিস্থিতি এমন থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।