ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে থানায় ১০-১৫ জন করে লোক থাকতো। এখন প্রত্যেক থানায় অফিসারের সংখ্যা, পদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পদোন্নতির সুযোগও বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই আপনারা হিসাব করে দেখেন আগে সুযোগ কেমন ছিল আর এখন কেমন। আপনাদের চাওয়ার কিছু নেই। চাওয়ার আগেই আপনাদের সব দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো চলতে পারলে দেশের উন্নতি হয়। এজন্য আপনাদের দাবি তোলার আগেই আমি পূরণ করেছি। ৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি পুলিশের বাজেট ৪০০ কোটি টাকা। আমরাই বাজেট দ্বিগুণ করে দেই। তখন পুলিশ রেশন পেতো ২০ শতাংশ। সেটাও আমরা দ্বিগুণ করে দিয়েছিলাম। তখনকার অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভালো ছিল না। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব করেছি। প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহ আসলে দাবি আসে। গতকাল (রোববার) আমি আপনাদের দাবির বিষয়ে যা বলার বলে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়। জাতির পিতাকে হত্যার পর আপামর জনসাধারণ উন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ছয় বছর পর প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমি দেশে ফিরে আসি। সেই সময়ের খুনিরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ তাদের বিচার না করতে ইনডেমনিটি জারি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর আমি পুরো দেশ ঘুরে বেড়াই। মাইলের পর মাইল হেঁটে, ভ্যানে চড়ে বা নৌকায় করে ঘুরে দেখেছি। মানুষের অবস্থা জানার চেষ্টা করেছি। ২১ বছর পর দেশে আমি ক্ষমতায় আসি। তবে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় না থাকার কারণে উন্নতি করতে পারিনি। এবারই আমরা টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলাম। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাজেট ৭-৮ গুণ বাড়াতে পেরেছি। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই এটা করতে পেরেছি। তবে বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারা পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করেছে। আমরা এসব ব্যবস্থার মোকাবিলা করেই কাজ করছি।

পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট করা দরকার। কারণ, পুলিশ হাসপাতালগুলোতে অনেক সময় ডাক্তাররা যেতে চান না। পুলিশের চিকিৎসার সুবিধার জন্য আমরা এ ব্যবস্থাও করে দেব।

পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে প্রথমে যখন সরকারে আসি তখন পুলিশ বাহিনীর রেশন বাড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছিলাম। ঝুঁকিভাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করেছিলাম। প্রমোশনের ব্যবস্থা করেছিলাম, লোকবলও বৃদ্ধি করেছিলাম। দ্বিতীয় দফায় যখন সরকারে আসি তখন পুলিশের জন্য কাজ করেছি। এবারও এসেই আমরা জনবল বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছি।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেই আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশের জনবল আমরা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করেছি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছি। নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে পুলিশের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছি। পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে আমরা নতুন নতুন ইউনিট করেছি। এই বিভিন্ন পুলিশ বাহিনীর ইউনিট তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৫:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে থানায় ১০-১৫ জন করে লোক থাকতো। এখন প্রত্যেক থানায় অফিসারের সংখ্যা, পদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পদোন্নতির সুযোগও বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই আপনারা হিসাব করে দেখেন আগে সুযোগ কেমন ছিল আর এখন কেমন। আপনাদের চাওয়ার কিছু নেই। চাওয়ার আগেই আপনাদের সব দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো চলতে পারলে দেশের উন্নতি হয়। এজন্য আপনাদের দাবি তোলার আগেই আমি পূরণ করেছি। ৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি পুলিশের বাজেট ৪০০ কোটি টাকা। আমরাই বাজেট দ্বিগুণ করে দেই। তখন পুলিশ রেশন পেতো ২০ শতাংশ। সেটাও আমরা দ্বিগুণ করে দিয়েছিলাম। তখনকার অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভালো ছিল না। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব করেছি। প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহ আসলে দাবি আসে। গতকাল (রোববার) আমি আপনাদের দাবির বিষয়ে যা বলার বলে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়। জাতির পিতাকে হত্যার পর আপামর জনসাধারণ উন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ছয় বছর পর প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমি দেশে ফিরে আসি। সেই সময়ের খুনিরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ তাদের বিচার না করতে ইনডেমনিটি জারি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর আমি পুরো দেশ ঘুরে বেড়াই। মাইলের পর মাইল হেঁটে, ভ্যানে চড়ে বা নৌকায় করে ঘুরে দেখেছি। মানুষের অবস্থা জানার চেষ্টা করেছি। ২১ বছর পর দেশে আমি ক্ষমতায় আসি। তবে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় না থাকার কারণে উন্নতি করতে পারিনি। এবারই আমরা টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলাম। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাজেট ৭-৮ গুণ বাড়াতে পেরেছি। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই এটা করতে পেরেছি। তবে বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারা পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করেছে। আমরা এসব ব্যবস্থার মোকাবিলা করেই কাজ করছি।

পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের জন্য একটি মেডিকেল ইউনিট করা দরকার। কারণ, পুলিশ হাসপাতালগুলোতে অনেক সময় ডাক্তাররা যেতে চান না। পুলিশের চিকিৎসার সুবিধার জন্য আমরা এ ব্যবস্থাও করে দেব।

পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে প্রথমে যখন সরকারে আসি তখন পুলিশ বাহিনীর রেশন বাড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছিলাম। ঝুঁকিভাতা থেকে শুরু করে অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করেছিলাম। প্রমোশনের ব্যবস্থা করেছিলাম, লোকবলও বৃদ্ধি করেছিলাম। দ্বিতীয় দফায় যখন সরকারে আসি তখন পুলিশের জন্য কাজ করেছি। এবারও এসেই আমরা জনবল বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছি।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেই আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুলিশের জনবল আমরা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করেছি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছি। নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করে পুলিশের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছি। পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে আমরা নতুন নতুন ইউনিট করেছি। এই বিভিন্ন পুলিশ বাহিনীর ইউনিট তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।