মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আবারো সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ যারা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তারা যে পার্মানেন্ট থাকবে সেটা বলা যাবে না। নবগঠিত এ মন্ত্রিসভা ভবিষ্যতে সম্প্রসারিত হতে পারে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা কিছু সম্প্রসারণ তো মাঝেমাঝে হয়ই। গতবারও প্রথম ক্যবিনেট যখন হয়, কয়েকদিন পরই আবার সম্প্রসারণ হয়েছিল। এবার নতুন মন্ত্রী নতুন মুখ আসছেন, তারা কিন্তু ঠিকভাবে ডেলিভার (সঠিক দায়িত্ব পালন) না করতে পারলে আবার বাদও যেতে পারেন। ক্যাবিনেট রিশাফল (পরিবর্তন) হতে পারে। একটা সময় তো তাদের দিতে হবে। সেই সময়ে যদি তারা ডেলিভার করেন অন আওয়ার প্রমিসেস অন আওয়ার নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর ওপর, ভালো। পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করবে তারা কে কত সময় ধরে মন্ত্রিসভায় থাকতে পারবেন।
তিনি বলেন, এবার মন্ত্রিসভায় একটা বিষয় এসেছে, সেটা খোলামেলা বলা উচিত। শেখ হাসিনার যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করেছে সেটা হচ্ছে, তিনি এবার মন্ত্রিসভা গঠনে গুরুত্ব দিয়েছেন যেসব এলাকাগুলো দীর্ঘকাল ধরে মন্ত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত, যেসব জেলা থেকে মন্ত্রী হয়নি, সেসব জেলাগুলোতে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এবার অনেকগুলো জেলা থেকে নতুন মুখ এসেছে।
নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় অনেকেই পুরাতন রয়েছেন। পুরনোদের মধ্যে যারা মন্ত্রিসভায় এসেছেন, তাদের অনেকের বেশ অভিজ্ঞতা আছে। নতুন-পুরনোরা মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তিনি কে কোন দফতর পাচ্ছেন তাও জানান।
৪৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী থাকছেন। এদের বেশিরভাগই নতুন। পুরনো মন্ত্রিসভার ৩৭ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বাদ পড়েছেন।