ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

পানগুছি নদীর ভাঙনে ২০টি গ্রামবিলীন. ভাঙ্গনের মুখে ৬টি গ্রাম আতংকে

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট : উপকূলীয় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে গত ৪দিন ধরে ৩/৫ ফুট পানি বেড়েছে। ভাঙ্গনের মুখে কাচা ও পাকা রাস্তাঘাট সহ ৬টি গ্রামের মানুষ আতংকে রয়েছে।গত ৪০ বছরেপানগুছি নদীর ভাঙনে ২০টি নদীগর্ভে চলে গেছে।এতেবাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জের ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নেয়ায় ৬টি গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে।গত ৪০ বছরে পানগুছিনদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে উপজেলা মানচিত্র। পানগুছি নদীর আয়তন তিনগুন বেড়েছে। ৩৫/২পোল্ডারের অধিনে বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রস্তাব করা হলেও দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রী, এমপি ও পাউবোর কর্মকর্তারা পরিদর্শনও করেছেন বহুবার। কিন্তু কাজের কিছুই হয়নি।গত ৪০ বছরে শুধু উপজেলা সদর থেকে নদীগর্ভে চলে গেছে, খাদ্যগুদাম, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়াটার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোষ্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্নাসী, শ্রেণিখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রামবিলীন । ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েক শ’ পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পায়লিং হয়েছে। খরস্রোতে পানগুছির ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মানের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন সহ পৌরসভার খাদ্যগুদাম, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়াটার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোষ্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্নাসী, শ্রেণিখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রামবিলীন । নদীর তীরবর্তী মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গাবতলা পৌর শহরের কুঠিবাড়ি খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া খাউলিয়া, মধ্য বরিশাল ৬টি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গনের মুখে আতংঙ্ক রয়েছে। অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। এদিকে পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বারইখালী গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্থায়ী ভিত্তিতে খুটি ও বাশেঁর পাইলিং বিধস্ত হয়ে পড়েছে। মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচএম মাহমুদ আলী জানান, পানগুছি নদীর তীরবর্তী কাঠালতলা ও গাবতলা দু’ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বিধস্ত হয়েছে বসতবাড়ি, কয়েক একর চাষাবাদের জমি নদীর করাল গ্রাসে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তাও নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক এমনকি সাইক্লোন শেল্টারও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। অদ্যবধি হয়নী কোন ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েক শ’ পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পায়লিং হয়েছে। খরস্রোতে পানগুছির ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মানের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

পানগুছি নদীর ভাঙনে ২০টি গ্রামবিলীন. ভাঙ্গনের মুখে ৬টি গ্রাম আতংকে

আপডেট টাইম ০৬:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট : উপকূলীয় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে গত ৪দিন ধরে ৩/৫ ফুট পানি বেড়েছে। ভাঙ্গনের মুখে কাচা ও পাকা রাস্তাঘাট সহ ৬টি গ্রামের মানুষ আতংকে রয়েছে।গত ৪০ বছরেপানগুছি নদীর ভাঙনে ২০টি নদীগর্ভে চলে গেছে।এতেবাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জের ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নেয়ায় ৬টি গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে।গত ৪০ বছরে পানগুছিনদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে উপজেলা মানচিত্র। পানগুছি নদীর আয়তন তিনগুন বেড়েছে। ৩৫/২পোল্ডারের অধিনে বেড়িবাঁধ নির্মানের প্রস্তাব করা হলেও দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রী, এমপি ও পাউবোর কর্মকর্তারা পরিদর্শনও করেছেন বহুবার। কিন্তু কাজের কিছুই হয়নি।গত ৪০ বছরে শুধু উপজেলা সদর থেকে নদীগর্ভে চলে গেছে, খাদ্যগুদাম, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়াটার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোষ্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্নাসী, শ্রেণিখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রামবিলীন । ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েক শ’ পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পায়লিং হয়েছে। খরস্রোতে পানগুছির ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মানের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন সহ পৌরসভার খাদ্যগুদাম, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়াটার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোষ্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্নাসী, শ্রেণিখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রামবিলীন । নদীর তীরবর্তী মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গাবতলা পৌর শহরের কুঠিবাড়ি খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া খাউলিয়া, মধ্য বরিশাল ৬টি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গনের মুখে আতংঙ্ক রয়েছে। অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। এদিকে পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বারইখালী গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্থায়ী ভিত্তিতে খুটি ও বাশেঁর পাইলিং বিধস্ত হয়ে পড়েছে। মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচএম মাহমুদ আলী জানান, পানগুছি নদীর তীরবর্তী কাঠালতলা ও গাবতলা দু’ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বিধস্ত হয়েছে বসতবাড়ি, কয়েক একর চাষাবাদের জমি নদীর করাল গ্রাসে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তাও নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক এমনকি সাইক্লোন শেল্টারও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। অদ্যবধি হয়নী কোন ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েক শ’ পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পায়লিং হয়েছে। খরস্রোতে পানগুছির ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মানের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।