মাসুম বিল্লাহ,বরিশাল প্রতিনিধি ঃ-
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের তরুণ সফল ও জনবান্ধব চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। নির্বাচিত হয়ে সকল প্রকার বৈষম্য ভেদাভেদ এর অবসান ঘটিয়ে মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ দূর করে সুন্দর সুশৃংখল একটি ইউনিয়ন গড়ে তুলেছেন তিনি। সর্বদা হাস্যজ্জল তরুণ চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার দুর্নীতি ছুঁতে পারেনি তাই তিনি ইউনিয়ন বাসীর কাছে আস্থার প্রতীক।
স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় এগিয়ে আসতেন। বিবেকের ব্যাকুলতায় যখন যেভাবে পারতেন অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে বাড়িয়ে দিতেন সহায়তা কোমল দুটি হাত। গভীর দেশাত্মবোধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ২০০০ সালে বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জামাত-বিএনপি’র রোষানলের শিকার হয়েও ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে কখনো বিচ্যুত হননি তিনি। প্রিয় সংগঠন কে বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলছেন নিরন্তর। তেমনি প্রিয় সংগঠন থেকে ভালোবাসা পেয়েও সিক্ত হয়েছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে থেকে উপজেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে মন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে বাকেরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে প্রত্যেকটি উঠান বৈঠকে বক্তব্যর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরেন তরুণ ছাত্রনেতা সফল চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবু। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিঃ সহ-সভাপতি, পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি তৎকালীন অবঃ ফ্লাইট সার্জেন্ট ও প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার হারুন এর সুযোগ্য সন্তান তিনি।
প্রায় ৩ বছর অাগে তার পিতার মৃত্যুর পর, উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও নৌকার কান্ডারি হয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন তিনি। জয়ের পর পরই হাল ধরেছেন পাদ্রীশিবপুর এর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে,খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যায়গা করে নিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষের মনে,বিগত ৩ বছরে উন্নায়ন এর ধারা ব্যাহত রেখেছেন তিনি। যুব সমাজের মনিকোঠায় তিনি অপ্রতিরোধ্য চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এলাকার উন্নয়নে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কার্যক্রম সুন্দর ও সফলভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাশ্ববর্তী এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু ব্রিজ এর কাজ শেষ ও কিছু চলমান রয়েছে। এছাড়াও কালবার্ট,পুল, রাস্তা মেরামত ও নতুন করে দেওয়া হয়েছে, যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে তৃনমুল থেকে আগে কাজ শুরু করেছেন তিনি। তাছাড়াও সরকার কর্তৃক সকল পেরিত সুবিধা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছেদিতে নিরলস পরিশ্রমে কোন ঘাটতি রাখেননি ইউনিয়নে,স্কুলমাদ্রাসা,কবরস্থান,মসজিদ,ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। প্রতিমাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত করে যাচ্ছেন। যেখানে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ও বাল্যবিবাহ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ইভটিজিং বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করছেন তিনি। বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) চলমান লকডাউনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন এর গরীব অসহায় মানুষের মাঝে সরকারি বরাদ্দ পৌঁছে দিয়েছি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছি। এমনকি রাতের অন্ধকারে নিজে ত্রান নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। চালু রেখেছি হটলাইন নাম্বার, যেখানে থেকে ফোন অাসে সেখানে চলে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবু জানান, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি, তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সারাজীবন মানুষের পাশে থাকতে চান। স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।