ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার এখন উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ পুরো উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে এবং সঙ্গে চলছে ঝড়ো বৃষ্টি। এর ফলে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এতে গভীর সমুদ্রে ও সাগর মোহনায় মাছ ধরার অন্তত পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার এখন উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রলার কুয়াকাটার আলিপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং  রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয় রয়েছে।
কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজ বলেন, ‘বর্তমানে সাগরে মাছ ধরার কোনো ট্রলার নেই। সব ট্রলার নিরাপদে উপকূলের তীরে ফিরে এসেছে। এসব ট্রলার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে অবতরণ করেছে।’ এদিকে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে রোববার থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহবুবা সুখি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ দশমিক ৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। এদিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে উপকূলের জনপদ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন দুটির অবস্থা খুবই শোচণীয়। জোয়ারের পানি প্রবল বেগে ঢুকে বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে।
এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, চালিতাবুনিয়া ও কলাপাড়া ইউনিয়ন দুটির স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ইউনিয়ন দুটির এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন

পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার এখন উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে

আপডেট টাইম ০৭:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ পুরো উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে এবং সঙ্গে চলছে ঝড়ো বৃষ্টি। এর ফলে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এতে গভীর সমুদ্রে ও সাগর মোহনায় মাছ ধরার অন্তত পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার এখন উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রলার কুয়াকাটার আলিপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং  রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয় রয়েছে।
কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজ বলেন, ‘বর্তমানে সাগরে মাছ ধরার কোনো ট্রলার নেই। সব ট্রলার নিরাপদে উপকূলের তীরে ফিরে এসেছে। এসব ট্রলার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে অবতরণ করেছে।’ এদিকে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে রোববার থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহবুবা সুখি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ দশমিক ৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। এদিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে উপকূলের জনপদ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন দুটির অবস্থা খুবই শোচণীয়। জোয়ারের পানি প্রবল বেগে ঢুকে বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে।
এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, চালিতাবুনিয়া ও কলাপাড়া ইউনিয়ন দুটির স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ইউনিয়ন দুটির এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।