ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

পাঁচবিবিতে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : কৃষকের স্বপ্ন হচ্ছে তার রোপণকরা ফসলের ভালো ফলন ঘরে তোলা। আর সেই সবুজ স্বপ্নকে জমির বুকেরোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা।জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর ধানেরকাঙ্খিত মূল্য পাননি। জমি চাষ, শ্রমিক মজুরী, কীট নাশক সার বাবদ খরচআর উৎপাদিত আমন ধানের বাজার মূল্যের কারনে কৃষকরা এক প্রকার ক্ষতিরমধ্যে পড়ে যায়। আমন ধানের সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বর্তমানে ইরি-বোরো চাষের নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে ইরি-বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতে এবার বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে চলছে এখন শুধু ইরি-বোরো ধান রোপণেরমহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের কাঁদা-পানিতে ভিজে ধানের চারা রোপণের কার্যক্রম চালাচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানেপাঁচবিবি মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায়অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আমাদের এলাকায়বীজতলাগুলো কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত— হয়নি। এ জন্য বোরো চারাঅনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না ঘটলে ইরি-বোরো ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।বাগজানা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমন ধানের দাম নাথাকায় বিক্রি করতে পারি নি। তারপরও ইরি-বোরো চাষ করতে হচ্ছে, যদিআমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারি।চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ২৫ হেক্টরজমিতে বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ লক্ষ্য মাত্র২০ হাজার হেক্টর জমিতে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে তাদের ধারনা। কোনোপ্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং বোরো চাষের পরিবেশঅনুকূলে থাকায় এবার বোরো চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে মনেকরছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ।এ জন্য বোরো মৌসুমে সেচ কার্যক্রম যথাযথ রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগওরয়েছে তৎপর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা, উপজেলার ৮টিইউনিয়নে ৪৯৫ টি গভীর নলকুপ ও বিদ্যুৎ চালিত মোটর রয়েছে। যেগুলো কেবলমাত্র বোরো চাষে সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যূতসমিতির পাঁচবিবি জোনাল অফিসের এজিএম আলমগীর কবির জানান,উপজেলায় বিদ্যূতের চাহিদা ১০ মেগাওয়াট থাকলে আমাদের রয়েছে পর্যাপ্তবিদ্যূত, ফলে ইরি-বোরো সেচ কাজে কোন সমস্যা হবে না।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুল আলম বলেন, ইরি-বোরোচাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

পাঁচবিবিতে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা

আপডেট টাইম ১০:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : কৃষকের স্বপ্ন হচ্ছে তার রোপণকরা ফসলের ভালো ফলন ঘরে তোলা। আর সেই সবুজ স্বপ্নকে জমির বুকেরোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা।জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর ধানেরকাঙ্খিত মূল্য পাননি। জমি চাষ, শ্রমিক মজুরী, কীট নাশক সার বাবদ খরচআর উৎপাদিত আমন ধানের বাজার মূল্যের কারনে কৃষকরা এক প্রকার ক্ষতিরমধ্যে পড়ে যায়। আমন ধানের সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বর্তমানে ইরি-বোরো চাষের নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন।আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে ইরি-বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতে এবার বীজতলার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে চলছে এখন শুধু ইরি-বোরো ধান রোপণেরমহোৎসব। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠের কাঁদা-পানিতে ভিজে ধানের চারা রোপণের কার্যক্রম চালাচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানেপাঁচবিবি মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।উপজেলার বহরমপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায়অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আমাদের এলাকায়বীজতলাগুলো কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত— হয়নি। এ জন্য বোরো চারাঅনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না ঘটলে ইরি-বোরো ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।বাগজানা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমন ধানের দাম নাথাকায় বিক্রি করতে পারি নি। তারপরও ইরি-বোরো চাষ করতে হচ্ছে, যদিআমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারি।চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ২৫ হেক্টরজমিতে বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ লক্ষ্য মাত্র২০ হাজার হেক্টর জমিতে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে তাদের ধারনা। কোনোপ্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং বোরো চাষের পরিবেশঅনুকূলে থাকায় এবার বোরো চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে মনেকরছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ।এ জন্য বোরো মৌসুমে সেচ কার্যক্রম যথাযথ রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগওরয়েছে তৎপর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা, উপজেলার ৮টিইউনিয়নে ৪৯৫ টি গভীর নলকুপ ও বিদ্যুৎ চালিত মোটর রয়েছে। যেগুলো কেবলমাত্র বোরো চাষে সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যূতসমিতির পাঁচবিবি জোনাল অফিসের এজিএম আলমগীর কবির জানান,উপজেলায় বিদ্যূতের চাহিদা ১০ মেগাওয়াট থাকলে আমাদের রয়েছে পর্যাপ্তবিদ্যূত, ফলে ইরি-বোরো সেচ কাজে কোন সমস্যা হবে না।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুল আলম বলেন, ইরি-বোরোচাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।