বিদুষ রায়, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
পলাশবাড়ীর দুর্গাপুর রাইগ্রামে সনাতন ধর্ম কল্যাণ সংঘের আয়োজনে দোলযাত্রা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে মহা নাম কির্তন শুরু করে ঐ গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে কির্তন করে অত্র সংগঠনের সদস্যরা এবং মন্দিরে এসে কির্তন সমাপ্ত করা হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তোরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়।
আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়। দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়।
শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকাল থেকে দুর্গাপুর রাইগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় এদিবসটি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দুধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে।