ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

পলাতক আসামীর হাইকোর্টে রিট দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আলোচিত রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটকারী আট ভুক্তভোগী দাবীকারী‌দের দুইজনই পলাতক আসামী বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পলাতক দুজন হচ্ছে মো. আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে- কোনো পলাতক ব্যক্তি কোনো ধরণের আইনী সুবিধা পেতে পারে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন যে, পলাতক ব্যক্তি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এজন্য কোনো পলাতক আসামীর আইনী সুবিধা পাওয়া আইনগতভা‌বে বৈধ নয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন লোহাগাড়া উপজেলার উজানটিলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১)। সেই মামলায় আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলী এখনও পলাতক রয়েছে মর্মে জানা গেছে। রিটকারী আটজনের মধ্যে (রিট পিটিশন নং. ৭৯০২/২০২১) দুইজন মো. আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলী পলাতক থাকা অবস্থায়ই রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন- পলাতক ব্যক্তি আইনী সুবিধা পাওয়া দূরের ব্যাপার এমনকি পলাতক আসামীদের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচারের ওপরও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন- “উচ্চ আদাল‌তের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিউজিটিভ বা পলাতক আসামী কোনো আইনী সাহায্য বা প্রতিকার পাবে না। তিনি আরো বলেন- যে মামলায় আসামী পলাতক সেই মামলায় সে কোনো প্রতিকার পেতে পারে না আইনে।”

আদালতে দায়ের করা নুরুল ইসলামের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০ জুন আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলীসহ আসামিরা মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল ইসলামকে লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারের দরিয়ানগর উপকূলে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে তাকে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
এক বছর কারাভোগের পর বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। এরপর ২৯ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন নুরুল ইসলাম।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

পলাতক আসামীর হাইকোর্টে রিট দায়ের

আপডেট টাইম ১০:৪৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আলোচিত রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটকারী আট ভুক্তভোগী দাবীকারী‌দের দুইজনই পলাতক আসামী বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পলাতক দুজন হচ্ছে মো. আলাউদ্দীন ও জিন্নাত আলী।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে- কোনো পলাতক ব্যক্তি কোনো ধরণের আইনী সুবিধা পেতে পারে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন যে, পলাতক ব্যক্তি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এজন্য কোনো পলাতক আসামীর আইনী সুবিধা পাওয়া আইনগতভা‌বে বৈধ নয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন লোহাগাড়া উপজেলার উজানটিলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (৪১)। সেই মামলায় আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলী এখনও পলাতক রয়েছে মর্মে জানা গেছে। রিটকারী আটজনের মধ্যে (রিট পিটিশন নং. ৭৯০২/২০২১) দুইজন মো. আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলী পলাতক থাকা অবস্থায়ই রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন- পলাতক ব্যক্তি আইনী সুবিধা পাওয়া দূরের ব্যাপার এমনকি পলাতক আসামীদের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচারের ওপরও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন- “উচ্চ আদাল‌তের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিউজিটিভ বা পলাতক আসামী কোনো আইনী সাহায্য বা প্রতিকার পাবে না। তিনি আরো বলেন- যে মামলায় আসামী পলাতক সেই মামলায় সে কোনো প্রতিকার পেতে পারে না আইনে।”

আদালতে দায়ের করা নুরুল ইসলামের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০ জুন আলাউদ্দিন ও জিন্নাত আলীসহ আসামিরা মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নুরুল ইসলামকে লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারের দরিয়ানগর উপকূলে নিয়ে আসেন।
সেখান থেকে তাকে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
এক বছর কারাভোগের পর বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। এরপর ২৯ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা করেন নুরুল ইসলাম।